শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

মে মাসে শুরু হবে অযোধ্যায় নতুন মসজিদের নির্মাণ কাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

 ভারতের অযোধ্যায় বিতর্ক রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলো। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই উদ্বোধন করা হয় মন্দিরটির। এখন প্রশ্ন উঠেছে, মন্দিরের পাশাপাশি নতুন করে মসজিদ বানানোর কথা ছিল, সেটি বাস্তবায়ন হবে কবে?

২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গাটি একটি ট্রাস্টকে দেওয়া যেতে পারে এবং সেখানে একটি রাম মন্দির তৈরি করা যেতে পারে।

একইভাবে, উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বলা হয় তাদেরকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে যেখানে তারা একটি মসজিদ তৈরি করতে পারবে।

হিন্দু বিশ্বাস মতে অযোধ্যা তাদের দেবতা রামের জন্মভূমি। আজকের রাম মন্দিরের স্থলে ১৬ শতকে মুগল শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল বাবরি মসজিদ। এটি নিয়ে  ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের।

হিন্দুদের দাবি, রাম যেখানে জন্মেছিলেন ঠিক সেই জায়গায় একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপরে মুসলিম ‘আক্রমণকারীরা’ বাবরি মসজিটটি নির্মাণ করেছিল।

১৯৯২ সালে কট্টরপন্থি হিন্দুরা মসজিদটি গুড়িয়ে দেয়। যার জেরে সৃষ্ট দাঙ্গায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিলেন।

২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা বেআইনি ছিল। তবে আদালতে যেসব প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে মসজিদের জায়গায় একটি অ-ইসলামিক স্থাপনা ছিল।

মসজিদ নির্মাণ কাজের দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনকে (আইআইসিএফ)। তাদের ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান হাজি আরফাত শেখ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, পবিত্র রমজান মাস শেষে আগামী মে মাসে নতুন জায়গায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। মসজিদটি নির্মাণ করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যায়।

আর মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গাটি অযোধ্যা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ধান্নিপুর গ্রামে। নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে মুসলমানদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আইআইসিএফ প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকি জানান, ‘আমরা কারো কাছে সাহায্য চাইনি.. তহবিল সংগ্রহের জন্য পাবলিক মুভমেন্টও করা হয়নি।’

 এদিকে বিজেপিসহ ভারতের হিন্দু জোট প্রায় তিন দশক আগে থেকে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ শুরু করে যার পরিমাণ ৩ হাজার কোটি রুপির (৩৬ কোটি মার্কিন ডলার) বেশি।

আইআইসিএফ এর সম্পাদক আতহার হুসাইনের মতে মসজিদ নির্মাণ কাজ দেরি হওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। মসজিদের মিনারের মতো কাঠামোতে আরও ঐতিহ্যগত উপাদান যুক্ত করার জন্য সেগুলো পুনরায় আঁকতে হয়েছে। এছাড়া, মসজিদ প্রাঙ্গণে ৫০০ শয্যার একটি হাসাপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনাও তারা করেছেন।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সর্বসাধারণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রণের উদ্যোগও শুরু করা হয়ে বলে জানান হাজি আরফাত শেখ। যিনি বিজেপির একজন নেতা। নতুন মসজিদের নাম রাখা হয়েছে ‘মসজিদ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ’। বাবরি মসজিদটি মুগল সম্রাট বাবরের আমলে নির্মিত হয়েছিল।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ