বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কো-স্পন্সর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ

আল জাজিরার বিশ্লেষণ, গাজার হাসপাতালে কোনো রকেট বিস্ফোরিত হয়নি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার পরের চিত্র

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতাল লক্ষ্য করে গত মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলার পরই হামাস জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সেখানে বোমা ছুড়েছে। তবে ওইদিনই ইসরায়েল পাল্টা দাবি করে, গাজার অপর সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের ছোড়া একটি রকেট ফসকে গিয়ে সেখানে আঘাত হানে। এতে হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া ইসলামিক জিহাদের রকেটের আঘাতে আল-আহলি হাসপাতাল বিস্ফোরণ হয়েছে— এমন দাবির পক্ষে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি ভিডিওর প্রসঙ্গও টানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

তবে ওই হাসপাতালে হামলা নিয়ে যে ইসরায়েল মিথ্যাচার করেছে সেটি ওঠে এসেছে আল জাজিরার ডিজিটাল ইনভেস্টিগেশন টিমের একটি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে। এতে তারা দেখিয়েছে, গাজার ওই হাসপাতালে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর রকেট আঘাত হানেনি। এর বদলে ভিডিওটিতে ওঠে এসেছে, ভয়াবহ বিস্ফোরণে হাসপাতালটি কেঁপে ওঠার আগে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছিল ইসরায়েল।

ভিডিওর শুরুতে হামলার পরবর্তী চিত্র দেখানো হচ্ছিল। এরপর হামলার দায় অস্বীকার ও ইসলামিক জিহাদের উপর দায় চাপিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর করা একটি পোস্ট ভিডিওটিতে তুলে ধরা হয়।

এরপর ভিডিওতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বক্তব্য দেখানো হয়। যেখানে তিনি দাবি করেন, আল জাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওটিতেই ওঠে এসেছে ইসলামিক জিহাদের রকেট বিস্ফোরিত হয়ে হাসপাতালে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

তার সেই দাবি যে মিথ্যা ছিল সেটি প্রমাণে আল জাজিরা তাদের নিজস্ব (সরাসরি সম্প্রচারিত) ভিডিওটি সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে।

এতে দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে গাজার ওই হাসপাতালের আশপাশে বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এরপর ৬টা ৪৮ পর্যন্ত চার জায়গায় বোমা ফেলে তারা।

ওই একই সময় ইসরায়েল থেকে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে। কিন্তু সেসব রকেটের সবগুলো মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলের আয়রন ডোম।

এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট ৫৯ দশমিক ৩৫ সেকেন্ডের সময় গাজা থেকে আরেকটি রকেট ছোড়া হয়। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করছে, এই রকেটটিই হাসাপাতালে আছড়ে পড়েছে। কিন্তু ৬টা ৪৫ দশমিক ৫০ সেকেন্ডের সময় সেই রকেটটিও ধ্বংস করে দেয় আয়রন ডোম। যা ইসরায়েল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

এমনকি ইসরায়েলের আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই রকেটটি আকাশেই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

এই রকেটটি ধ্বংস করার ৫ সেকেন্ড পর গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর চালানো একটি হামলা ধরা পড়ে। এর ঠিক ২ সেকেন্ড পর বিশাল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ওই হাসপাতালটি।

আল জাজিরা ওই ভিডিওটির শেষে বলেছে, হাসপাতালে ইসলামিক জিহাদের রকেট বিস্ফোরণ হওয়ার যে দাবি ইসরায়েল করেছে, এটির কোনো সত্যতাই নেই।

এদিকে আল-আহলি হাসপাতালে চালানো সেই ভয়াবহ হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ওই হাসপাতালের পাশে জড়ো হয়েছিলেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ