বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কো-স্পন্সর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা, ঘুরছেন পার্কে

গাজার খান ইউনিসে এক বাড়িতে ৯০ জন, ঘুমায় পালা করে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের বাসিন্দা ইব্রাহিম। তার পরিবার যতটা সম্ভব আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার মা-বাবার বাড়িতে এখন ৯০ জন মানুষ রয়েছে। ইব্রাহিমের কথা অনুযায়ী, এর পেছনে কারণ হলো, তার পরিবার কখনোই কাউকে ফিরিয়ে দেয় না।

বাড়িতে সবার একসঙ্গে ঘুমানোর মতো জায়গা নেই। তাই তারা পালা করে একটি ম্যাট্রেসে দুজন ঘুমানোর চেষ্টা করে। এতে কেউই আরাম করতে পারে না।

ইব্রাহিম বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত আমরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।

গাজায় এখন খাদ্য সরবরাহ দুষ্প্রাপ্য। তাই তাদের বাড়ির লোকেরা প্রতিদিন বাইরে গিয়ে দেখতে চেষ্টা করে, টিনজাত খাবার বিতরণ করা হচ্ছে কি না। তাদের কাছে রুটি বানানোর জন্য পানি ও গম রয়েছে। কিন্তু তা দিনে একবারের বেশি খাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশুদের। বাড়িতে ১০ জনের বয়স পাঁচ বছরের কম। ইব্রাহিম বলেন, ‘তারা সব সময় খাবার ও পানি চায়। আমরা যতটা সম্ভব সেগুলো পাওয়ার চেষ্টা করছি। এটা খুবই সীমিত...এটা খুবই কঠিন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বড়রা কিছুটা সহ্য করতে পারি, আমরা ক্ষুধার্ত থাকতে পারি, কিন্তু যখন শিশুরা খাবার চায় তখন আমরা তাদের না বলতে পারি না।’

একজন গর্ভবতী নারী এবং একজন বয়স্ক পুরুষ ডায়াবেটিস রোগী বাড়িটিতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধু বয়স্ক ব্যক্তির কাছে আরো কয়েক দিনের জন্য যথেষ্ট ওষুধ রয়েছে বলে ইব্রাহিম জানান।

ইব্রাহিম বলেন, ‘যদি কারো সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে, তবে আমাদের এখন হাসপাতালে যাওয়ার কোনো উপায় নেই…এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে আমি সব সময় চিন্তিত।’

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের হাসপাতালে ডাক্তাররা প্রতি রোগীকে প্রতিদিন ৩০০ মিলিলিটার করে পানি দিচ্ছেন। রাস্তায় মানুষ পানি ও রুটির জন্য সারিবদ্ধ হয়ে ভিক্ষা করছে। দক্ষিণ গাজার ৯০ শতাংশ বাড়িতে পানি নেই।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে তারা খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মানবিক সংকটের কথা অস্বীকার করে জোর দিয়ে বলেছে, সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ—উভয়েরই সরবরাহ রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ