ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে ‘বোরকা’ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে অস্ট্রিয়ার মুসলিম নারীরা। রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাসের সামনে তারা এ মানববন্ধের আয়োজন করে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে তারা ‘বোরকা আমাদের পরিচয় ও আমাদের অধিকার’ এবং ‘আমার পোশাক আমার পছন্দ’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়। এ সময় তারা স্কুলে বোরকা নিষিদ্ধ করে নারীদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অন্যায্য হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয়।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া সোশ্যাল কন্টেন্ট নির্মাতা বারাআত বুলাত বলেন, ‘সম্প্রতি ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে ইসলামোফোবিয়া প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের নিন্দায় আজকের এই অবস্থান কর্মসূচী। বোরকা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নারীদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। এ ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা অনুচিত।
এমন পদক্ষেপ নারীর পছন্দের পোশাক পরার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করেন তিনি।
বুলাত আরো বলেন, ‘বোরকা নিষিদ্ধের কারণে মেয়েরা তাদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারছে না। কারণ তারা স্কুলে বোরকা বা হিজাব পরে যেতে অভ্যস্ত। এ ধরনের বিধি-নিষেধ খুবই অস্বাভাবিক।অথচ আমরা এখন ২১ শতকে বসবাস করছি।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি স্কুলে ‘আবায়া’ পরা নিষিদ্ধ করে ফ্রান্স সরকার। সরকারি স্কুল ও সরকারি অফিসে ধর্মীয় চিহ্নের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে নতুন করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। মূলত ১৯০৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতা আইনের মাধ্যমে ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতার পথ নেয় ফ্রান্স। ১৯৮৯ সালে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর ২০০৪ সালে দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়েদের স্কার্ফ বা হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে। ২০১০ সালে দেশটি বোরকা ও নেকাবসহ পুরো মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক প্রকাশ্যে পরা নিষিদ্ধ করে।
এমএম/