অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ইউনূসকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) নারী অধিকার সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব বাতিলের দাবিসহ চারদফা দাবিতে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নারী সংস্কার কমিশনের কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে এনসিপির এই নেতা বলেন, অপ্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে যদি নারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়, নারীদের সম্মান নিশ্চিত হয় সেগুলো আপনি করুন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার আট মাস পরে যেসব দাবিতে আজ এখানে জমায়েত হয়েছে, সেটা আমাদের জন্য গর্বের কিছু নয়। বরং লজ্জার। ৫ আগস্ট সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, হাসিনার পুনর্বাসনের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষ রেডকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, '৫ আগস্ট আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি, এই ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না। যেই আওয়ামী লীগ আমাদের দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না।'
তিনি বলেন, অতন্ত্য পরিতাপের বিষয় আট মাস পরে এসে অনেক রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদ আমাদের বারবার বলে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নাকি তাদের নাই। ড. ইউনূস কয়েকদিন আগে বলেছেন- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে কি না এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের। ড. ইউনূস ভুলে যাবেন না আপনাকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি করবে না, আসবে কি আসবে না- এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। আমার ভাই আবরার, আবু সাইদের রক্তের ওপর দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আসবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ হবে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। এখানে কিন্তু-যদি-অথবা নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না। স্বাধীনতার পর বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিবুর গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। সে সময়ে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল এই দল।
মঞ্চে উপস্থিত হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আজকে এখান থেকে আপনারা শহিদদের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করুন। হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এমএইচ/