রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৬ জিলকদ ১৪৪৬


তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন: তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করার কী বিধান? 

উত্তর: তাওয়াফ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েজ হলেও তখন তিলাওয়াত না করে দোয়া, জিকির-আযকার করাই উত্তম। বিশেষত যে সকল দোয়া, জিকির হাদিস, আছারে বর্ণিত হয়েছে, সম্ভব হলে সেগুলো পড়াই ভালো। 

ইয়াহইয়া আলবাক্কা রহ. বলেন- আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. এক ব্যক্তিকে তাওয়াফ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখে তাকে বারণ করেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৫৪২৪)

লায়ছ রহ. থেকে বর্ণিত, মুজাহিদ রহ. সম্পর্কে তিনি বলেন- তিনি তাওয়াফ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা পছন্দ করতেন না। বরং সে (তাওয়াফের সময়) আল্লাহর জিকির, হামদ ও তাকবির বলবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৫৮৭৮ দারু কুনূযিল ইশাবীলিয়া প্রকাশিত)

অতএব কেউ তাওয়াফের সময় কুরআন খতমের নিয়ত করে থাকলেও তার জন্য উত্তম হবে তখন কুরআন তিলাওয়াত না করে দোয়া ও জিকির-আযকার করা। 

অবশ্য তাওয়াফের বাইরে অন্য সময় মসজিদে হারামে বা মক্কায় অবস্থানকালে সে তার কুরআন খতমের নিয়তটি পূরণ করে নিতে পারে। মক্কায় অবস্থানকালে অধিক পরিমাণে তিলাওয়াত করা, সম্ভব হলে পূর্ণ কুরআন কারীম খতম করা উত্তম। 

তাবেয়ি ইবরাহীম নাখায়ী রহ. বলেন, তারা (সাহাবা-তাবেয়ীরা) মক্কায় প্রবেশের পর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের আগে কুরআন মাজীদের খতম করাকে পছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৮৮৬২)

সূত্র: আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/৪৬৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩৯০; মানাসিকে মোল্লা আলী আলকারী, পৃ. ১৬৭, ২৫২;  রদ্দুল মুহতার ২/৪৯৭

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ