ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ আজ ২৮ এপ্রিল’২০২৫ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্তু প্রায় দশ শতাংশ বেশি মূল্যে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছে । জীবন পরিচালনা করা এখন জীবন যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করার বিষয়টি আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে আছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির পেছনে পতিত স্বৈরাচারের নীতিগত ভুলের প্রভাব আছে তা সত্য। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নয় মাস দেশ পরিচালনা করার পরেও মূল্যস্ফীতি একই অবস্থায় থাকার বিষয়টি আমাদেরকে হতাশ করছে। শ্রীলংকা, পাকিস্তান ভয়ংকর মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যদেশগুলোও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে অবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে; এটা আমাদের অর্থনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির সামগ্রিক ব্যর্থতা হিসেবে হাজির হয়েছে।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মূল্যস্ফীতির পেছনে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিচ্ছেন। এটা জুলাই বিপ্লবকে অপমান করার শামিল। বাংলাদেশে এতো রক্তক্ষয়ী একটা আন্দোলনের পরেও চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটবাজরা কাদের ছত্রছায়ায় এসব করে দেশের কোটি মানুষকে খাদ্যাভাবে ফেলছে তা জাতি জানে। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতি বিরক্ত হয়েই জুলাইয়ে জনতা রক্ত দিয়েছিলো। সেই পুরোনো বন্দোবস্ত এখনো নাগরিকদের হয়রানি করছে তা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে এদের প্রতিহত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, মানুষের ক্ষুধা বড় ভয়ংকর বিষয়। ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ ‘মানচিত্র চিবিয়ে খায়’। মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে না পারলে সংস্কার, নির্বাচন ইত্যাদি সব ভেস্তে যাবে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন। অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পাদন করুন। চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটবাজদের আইনের আওতায় আনুন। যেকোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে এ সংক্রান্ত যেকোনো কাজে পাশে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
এমএইচ/