বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরাইলের রামন বিমানবন্দরে ইয়েমেনের ড্রোন হামলা ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটের সংলাপ: ৭ দফা ঐকমত্য ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে মসজিদ-মাদরাসায় হামলা ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিফলন: খেলাফত মজলিস ভারতীয় মুসলিম নেতারা হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি? ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভীর স্মৃতি নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করবে’ পাক-ভারত যুদ্ধ : ঈমানের লড়াই না ভূখণ্ডের দ্বন্দ্ব? ‘নারী কমিশন ইস্যুতে বিতর্ক জিইয়ে রাখা সরকারের উচিত হচ্ছে না’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত – শান্তির শেষ সুযোগ কি ইসলামাবাদের হাতে?

ভারতীয় মুসলিম নেতারা হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

||মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ||

যতদূর মনে হচ্ছে, হিন্দুস্তানের মুসলিম কমিউনিটি ও রাজনীতির নেতারা একটা সংকটের মধ্যে আছেন। পাকিস্তান ইস্যুতে সবসময় তাদেরকে সন্দেহ করা হয় এবং খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কথা বলা হয়। এজন্য পাকিস্তান-হিন্দুস্তান জটিলতায় দুই কদম এগিয়ে কথা বলতে হয় তাদের। এটা ৮০/৯০ দশকের দিকেও চালু ছিল, কিন্তু গত ১০-১৫ বছরে এই জটিলতা অনেক বেড়ে গেছে। 

পাহেলগাও ঘটনার পেছনে কী আছে, ভালোভাবে প্রমাণ করার আগেই পাকিস্তানে বিমান হামলা নিয়ে হিন্দুস্তানের অ-বিজেপি অনেক নেতাও নিজেদের মতো করে মুখ খুলতে পারছেন না। সবাইকে কম-বেশি হিন্দুত্ববাদী বিজেপির ফর্মুলা অনুযায়ী হাওয়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ববাদী ভারতবাদের ফ্রেমের বাইরে থাকাটা তাদের জন্য নিরাপদ থাকছে না। ওই দেশের জনতা মিডিয়া আর্মি সব একই ফর্মুলায় চলছে। 

এই সংকটের মধ্যেই মুসলিম নেতাদের কেউ কেউ দেশীয় বাস্তবতায় দায়িত্ব পালনের স্বার্থে কিছু কথা বলছেন, আবার কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে অনেক এলোমেলো কথাও বলছেন। দূর থেকে পর্যবেক্ষণে মনে হয়, এটা মুসলিম নেতাদের বাস্তবতা ও সংকট; কিন্তু এভাবে তারা কতদূর যাবেন কিংবা কবে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন এটা বলা খুব মুশকিল। সেখানে শুধু পাকিস্তান বিদ্বেষ নয়, উপমহাদেশব্যাপী মুসলিম বিদ্বেষের এক গভীর খাদ অলরেডি বানানো হয়ে গেছে। 

মুসলিমদের ধারণ করা তো দূরের জিনিস, ভারত আসলে জাতিগত বৈচিত্র্য নিয়ে চলার সব সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলেছে। নিজ দেশে ও প্রতিবেশীদের সাথে সংকট লাগিয়ে রাখা ছাড়া সম্ভবত তার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। এই পরিস্থিতিটা হয়তো আয়তনে বড় ওই রাষ্ট্রটির জন্য রুঢ় কোনো সাফল্য কিংবা খণ্ড বিখণ্ডে বিনাশ হওয়ার পথ সুগম করবে। সময় বলে দেবে।

লেখক: আলেম, কথাসাহিত্যিক ও বিশ্লেষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ