রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার; পাহালগামে অভিযানের পঞ্চম দিন জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ সাহেব রোড এক্সিডেন্ট করেছেন। আল্লামা আমিনুল হক রহ.: জীবনরেখা ও কর্মধারা ফ্যাসিবাদের বিচারকদেরও বিচার হতে হবে: রিজভী ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করুন : হেফাজতে ইসলাম ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর ইস্যুতে উম্মাহর  ঐক্য জরুরি: নেজাম ইসলাম পার্টি নবনির্বাচিত আমির ও মহাসচিবকে অভিনন্দন জানালো ছাত্র আন্দোলন বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস: মেধার হোক সঠিক ব্যবহার পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব ‘দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়’ প্রস্তাবে একমত জামায়াত

দেড় মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হতে পারে : চিফ প্রসিকিউটর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চলতি মাসেই শেখ হাসিনাসহ প্রধান প্রধান কয়েকটি মামলার তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার যাবে বলে প্রত্যাশা করেন মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিবেদন হাতে পেলে এক থেকে দেড় মাসের মাথায় বিচার কাজ শুরু করা সম্ভব।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার, পরিবেশগত সমস্যা ও আইন প্রয়োগের গুরুত্ব শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকার স্বাক্ষরিত। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর বলা যাবে, কত দিন সময় লাগবে। কারণ যে নথিগুলো আছে, ডিজিটাল এভিডেন্স, লাইভ এভিডেন্স, ডকুমেন্টারি এভিডেন্স আছে এবং দুই পক্ষের সাক্ষীর ব্যাপার আছে; আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন কত দিন সময় তারা নেবেন। ট্রাইব্যুনালের বিচার বিরতিহীন চলবে, আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার চাইব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড—ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেই সেটা করতে হবে।

বিস্তৃত ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা সাধারণ একটা খুনের মামলা নয়, একটা গুলি বর্ষণের মামলা নয়। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দুই হাজারের মতো মানুষ শহীদ হয়েছেন। ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সব আহত ও শহীদ পরিবার কিন্তু ট্রাইব্যুনালে আসছেন না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা গণশুনানির আয়োজন করেছি। আহতদের কাছে যাচ্ছি, তাদের বোঝাচ্ছি, আপনাদের কাছে যে তথ্য আছে সেগুলো দেন। এই যে বিস্তৃত কাজ, এগুলো সংকলন করে একটি নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করাএ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্য পরাজিত দোসররা নানাভাবে চেষ্টা করবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ