মাসউদুল কাদির
হাজারো আলেমের উস্তাজ পটিয়ার ইতিহাসে মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর আল্লামা আব্দুল মান্নান দানেশ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
পটিয়ায় হুজুরের অনেক সাহচর্য পেয়েছি। তিনি উঁচু মানের কবিতা লিখতেন। উর্দু ফার্সি কবিতায় লিখতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেন। আমার বাংলা ছড়া-কবিতা দেখেও অনেক প্রশংসা করেছিলেন। ২০০৬ সালের দিকে হযরত আব্দুল মান্নান দানেশ রহমতুল্লাহি আলাইহির তত্ত্বাবধানে অনেক শিক্ষার্থী কবিতা চর্চায় এমনকি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের লেখালেখিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। এদের অনেকেই এখন বড় কীর্তিমান। নিজ নিজ জায়গায় আলো ছড়াচ্ছেন।
সামাজিক কাজ বলুন আর লেখালেখি বলুন অথবা বক্তৃতার ময়দানে- তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া কর্তৃপক্ষ হযরতের দাফন কার্য পটিয়ায় সম্পাদন করতে রাজি হয়েছে। অবশ্যই এটা অনেক ভালো দিক। আমি সরাসরি হযরতের কাছে কোনো কিতাব পড়িনি, তবে তাঁর সঙ্গ সৌভাগ্য সান্নিধ্য লাভ করার অনেক সুযোগ হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীকে কাছে টানতে পারতেন এবং মুগ্ধ করে তুলতে পারতেন। যে কাজ তিনি চাইতেন এ কাজে শিক্ষার্থীকে টানতে পারতেন।
ছাত্ররা তাঁকে খুবই পছন্দ করত। তিনি বাংলা ভাষায় গরম বক্তৃতা দিতে পারতেন না, তবে লিখতে পারতেন কবিতার ভাষায়। ছন্দ কবিতায় তিনি নিজের ভাষ্য তুলে ধরতে পারতেন। ২০০৬ সালে আমার পটিয়ার ১০ মনীষী লেখার সময় তিনি অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। তথ্য ও উপাত্য দিয়ে বিভিন্নজনের পরিচয় তুলে ধরে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। আজ বড়ই খারাপ লাগছে মিষ্টি ভাষার চমৎকার এই মানুষটি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন।
ছেড়ে আসা সেই পটিয়ার আসাতেজায়ে কেরাম এবং শিক্ষার্থীরাও আজকে শোক পালন করছে। আল্লাহ তায়ালা হযরতের পরকালকে সুন্দর করুন জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন। আমিন।
লেখক: প্রেসিডেন্ট, শীলন বাংলাদেশ
এনএইচ/