শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পটিয়ার ইতিহাসে মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর ছিলেন তিনি আজ জমিয়তের কাউন্সিল, কী পরিবর্তন আসছে নেতৃত্বে? মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরীক্ষার মাধ্যমেই নিজেকে যাচাইয়ের সুযোগ পান একজন শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থীর মেধা ও মান যাচাইয়ের মানদণ্ড হচ্ছে এই পরীক্ষা।
ইসলাম ভালো ফলাফলের জন্য অলসতা ত্যাগ করে পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে।


তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য যে কাজটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো কঠোর পরিশ্রম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সবার জন্যই তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না। (সুরা আল-আহকাফ : ১৯)

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির আমল তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ-পরিচয় তাকে কখনোই এগিয়ে দিতে পারে না।’(সহিহ মুসলিম : ৭০২৮)

আল্লাহর ওপর ভরসা করার মানে এই নয় যে পড়ালেখা না করেই উত্তম ফলাফলের অপেক্ষায় থাকবে। আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে দারুল আসবাব তথা উপকরণের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়েছেন। তাই পড়ালেখা করতে হবে
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন হজ করত কিন্তু সঙ্গে পাথেয় নিয়ে আসত না। আবু মাসউদ বলেন, ইয়েমেনের কিছু লোক হজে যেত কিন্তু সঙ্গে পাথেয় আনত না এবং তারা বলত যে আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করেছি। অথচ মক্কায় পৌঁছার পর তারা ভিক্ষা করত। ফলে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করলেন, ‘তোমরা হজের সফরে সঙ্গে পাথেয় নিয়ে যাবে, আর জেনে রেখো তাকওয়াই হলো উত্তম পাথেয়।(আবু দাউদ : ১৭৩০)

পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার আগে দুই রাকাত ‘সালাতুল হাজত’ পড়ে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হওয়া যেতে পারে।
কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন ‘সালাতুল হাজত’ বা প্রয়োজন পূরণের নামাজ পড়তেন।(আবু দাউদ : ১৩১৯)

এটি পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সুরা পড়া জরুরি নয়। বরং সাধারণভাবে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিজ প্রয়োজনগুলো মহান আল্লাহর কাছে পেশ করা ও তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। 
তাড়াহুড়ার কারণে ভুল হয়। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, তাড়াহুড়া শয়তানের অভ্যাস। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘কাজে ধীরস্থিরতা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া করা শয়তানের পক্ষ থেকে।(সুনানে বায়হাকি : ২০৭৬৭)। 

যেকোনো ভালো কাজই বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতে হয়। তাই পরীক্ষার্থীরাও প্রশ্নপত্র গ্রহণ করার সময় এবং উত্তর লেখা শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ বলবেন। সঙ্গে দরুদ শরিফও পাঠ করে নিতে পারেন। কারণ কোনো ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর ওপর একবার দরুদ পড়লে মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। বিসমিল্লাহ পড়ার ব্যাপারে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, যেসব কাজ আল্লাহর নাম না নিয়ে শুরু করা হয়, সেগুলো বরকতশূন্য। কোনো বর্ণনায় আল্লাহর প্রশংসার কথাও বলা হয়েছে।


অনেক সময় দেখা যায়, ভালোভাবে মুখস্থ করে যাওয়া জিনিসও মনে পড়ে না। কেউ এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে পারেন।
উচ্চারণ : ‘রব্বিশরাহলি সদরি, ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি, ওয়াহলুল উকদাতাম মিল্লিসানি, ইয়াফকহু কওলি।’
অর্থ : সে বলল, হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন—যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা : ২৫-২৮)


এই দোয়া মৌখিক পরীক্ষার সময় বেশি বেশি পড়া যেতে পারে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ