বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘মাদক প্রতিরোধে সীমান্তের তরুণদের বিজিবির মতো প্রহরী হতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশে মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অরাজনৈতিক সংগঠন “মাদানী মজলিস বাংলাদেশ”। রাজধানী থেকে সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে তাদের সচেতনতা ও দাওয়াতি কার্যক্রম।

সম্প্রতি রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার ও সেগুনবাগিচায় সংগঠনটি একাধিক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এসব আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন বলেন, “মাদক কেবল ব্যক্তিকে নয়, গোটা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মাদকাসক্তদের ঘৃণা নয়, বরং সহমর্মিতা দেখিয়ে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে চাই।”

শুধু শহরেই নয়, গ্রাম ও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও মাদানী মজলিস বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ইসলামী জলসায় সচেতনতামূলক বক্তব্য, তরুণদের নিয়ে ইসলামী প্রশিক্ষণ, এবং ধর্মীয় কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গতকাল সংগঠনের সভাপতি সফর করেন ভারতের সীমান্তঘেঁষা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর গ্রামে। শতাধিক যুবকের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে শুধু বিজিবিই যথেষ্ট নয়, সীমান্ত এলাকার তরুণদেরও সজাগ প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।”

জাতীয় পর্যায়ে মাদানী মজলিস বাংলাদেশ কিছু গঠনমূলক প্রস্তাবও উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—ইমাম-খতিব, জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে একটি জাতীয় মাদকবিরোধী কমিশন গঠন, লাইসেন্সধারী মদের দোকানে নজরদারি বৃদ্ধি, এবং যুবসমাজের জন্য মানসিক ও ধর্মীয় কাউন্সেলিং।

শায়খ হাফীজুদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বে সংগঠনটির দাওয়াতি মেহনত এখন শুধুমাত্র একটি সচেতনতামূলক উদ্যোগ নয়, বরং এটি একটি আত্মরক্ষামূলক সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া আহ্বান— “আপনারা হোন বিজিবির মতো প্রহরী”— সীমান্তবর্তী তরুণদের মাঝে আত্মমর্যাদা ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলছে।

মাদানী মজলিস বাংলাদেশ-এর এই প্রচেষ্টা প্রমাণ করছে—মাদকবিরোধী লড়াই কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়; এটি একটি সম্মিলিত সামাজিক দায়িত্ব।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ