সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্পেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত ভারতকে ১৯৬৫ সালের মতো জবাব দেবে পাকিস্তান: মাওলানা ফজলুর রহমান ‘৩ মে’র মহাসমাবেশ হবে তৌহিদি জনতার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজত আমিরের আহ্বান হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন

৫৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন কালু কসাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাস ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের বাজারে গরুর মাংসের দাম বেশ বড়া। যা সাধারণ মানুষের কেনার বাহিরে দাঁড়িয়েছে। বগুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর গ্রামের হাটবাজারে ৬৮০ টাকা করে বিক্রি। তবে ৫৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করে হৈচৈ ফেলেছেন জেলার এক কসাই।

আলোচিত কসাইয়ের নাম নজরুল ইসলাম ওরফে কালু কসাই। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে তার মাংসের দোকান। তিনি বিগত এক বছর ধরে বাজারের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করছেন। বিষয়টি লোকমুখে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এখন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকছে তার দোকানে।

শিমুলতলী মোড়ের অবস্থান বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। বাগবাড়ী সড়কের এই মোড় এখন কালু কসাইয়ের ‘গোশত ঘর’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তার দোকান থেকে মাংস কিনতে শহর থেকে ৩০ টাকা অটোরিকশা ভাড়ায় ছুটছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে শিমুলতলী মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম ওরফে কালু কসাইয়ের দোকানে ভিড়। স্থানীয়দের চেয়ে মাংস কেনার জন্য অন্য এলাকার মানুষ বেশি এসেছে

মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন,বালুয়াহাটে প্রতি কেজি মাংস ৬৮০ টাকা। ফেসবুকে দেখেছি, এই মোড়ে মাংস ৫৮০ টাকা কেজি। এক কেজি মাংসে ১০০ টাকা কম। এ কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি। ১০০ টাকার তেল খরচ হলেও ৩০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাইরের এত মানুষ প্রতিদিন মাংস কিনতে আসেন যে এলাকার মানুষ কালুর দোকান থেকে মাংস নিতে পারে না। দূর-দূরান্তের মানুষ এলাকার অতিথি, এ জন্য তাদের আগে মাংস দিয়ে বিদায় করতে হয়। এলাকার যারা মাংস নিতে চায় তারা আগেই কালুকে রাখেন, পরে এসে মাংস নিয়ে যান।

নজরুল ইসলাম কালু জানান, প্রায় ২৬ বছর ধরে তিনি মাংস বিক্রির পেশায় জড়িত। এক বছর আগেও তিনি বাগবাড়ী বাজারে মাংস বিক্রি করতেন। কিন্তু গত বছর সেখানে টোল বাড়ানো হয়। টোল বাড়ানো নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তখনই তিনি হাটে দোকান না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বাড়ির পাশে শিমুলতলী মোড়ে দোকান বসান।

তিনি জানান, ওই সময় হাটে মাংস বিক্রি হচ্ছিল ৫৫০ টাকা কেজি। তিনি তখন ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু করেন। তখন শহরে দাম ছিল ৬০০ টাকা কেজি। এই কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার দোকানে ক্রেতা বাড়তে থাকে।

নজরুল ইসলাম কালুর বড় ছেলে আবু হাসান মাঝেমধ্যে বাবাকে দোকান সামলাতে সহায়তা করে থাকেন, তিনি এবার স্নাতকে (সম্মান) পড়ছেন। আর ছোট ছেলে পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

কালু জানান, আগে হাটে দোকান দিয়ে দিনে একটা গরুও বিক্রি হতো না। এখন সপ্তাহে অন্তত ২৫টা গরু বিক্রি হচ্ছে। চারজন কর্মচারীর মজুরি বাদ দিয়ে গরুপ্রতি ৫০০ টাকা টিকলেও মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে।

তিনি বলেন, হাটের টোল যেখানে কম, সেসব এলাকার কসাইরা চাইলেই কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারেন। এতে লাভ কিছুটা কম হলেও মানুষের উপকার হবে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ