সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ২৯ পৌষ ১৪৩১ ।। ১৩ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
আগামী নির্বাচনকে এযাবৎকালের সেরা ও ঐতিহাসিক করতে চাই: ড. ইউনূস পাকিস্তানিদের জন্য বাংলাদেশের ভিসার শর্ত শিথিল ‘আল্লাহর জমীনে আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাফেজ্জী হুজুর নির্বাচন করেছিলেন’ বিএনপির পার্টি অফিস ভাংচুর মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে বুঝবেন যেভাবে জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন ২০২৫ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত, কমেনি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা ভ্যাট আরোপ ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় বন্ধে খেলাফত মজলিসের উদ্বেগ সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকি ছবি

যারা যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করবেন, প্রতিদিন যদি অন্তত ১০ হাজার কদম কেউ হাঁটেন, তাহলে ডায়াবেটিক হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। কিন্তু সেটা কতজন করেন?”

”কেউ ডায়াবেটিক হলে অবশ্যই তার জীবনযাপনে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইপ-২ ধরণের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে:

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা
দুর্বল লাগা’ ঘোর ঘোর ভাব আসা
ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া
মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া
শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা
চোখে কম দেখতে শুরু করা
কাদের ঝুঁকি বেশি


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা-
বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলছেন, যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। এজন্য সবসময় হাসপাতালে যেতে হবে এমন নয়। এখন অনেক ফার্মেসিতে স্বল্পমূল্যে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়। সেখান ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদেরকেও বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততো ভালো। তাতে তিনি যেমন রোগটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারবেন, পাশাপাশি তার জীবনযাপনও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।”

সুত্র: বিবিসি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ