ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়লেও নেই যানজট। স্বস্তিতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গাজীপুর ও সাভার অঞ্চলের পোশাক কারখানায় ছুটি শুরু হয়েছে।
ফলে চাপ বাড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মহাসড়কে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের সুবিধা নিয়ে চলাচল করতে পারছে। তাই যানজটে পড়তে হচ্ছে না। এর আগে ঢাকা থেকে চার লেন সড়ক ব্যবহার করে যানবাহন এলেঙ্গা পর্যন্ত আসত।
এর পর থেকে যেতে হতো দুই লেন সড়কে। এতে সৃষ্টি হতো যানজটের। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী বাস চালক হায়দার আলী এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বলেন, ‘টাঙ্গাইল যানজট নেই। তবে গাজীপুরের দিকে কিছুটা চাপ আছে।’
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, প্রতি প্রান্তে ৯টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের টোল পৃথক লেনে নেওয়া হচ্ছে। তাই সেতু এলাকায় টোল দিতে গিয়ে যানজটে পড়তে হচ্ছে না।
২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, গত বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ছিল ২০ হাজার ২৪১টি।
এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার ৬৫ কিলোমিটার অংশে সাত শতাধিক পুলিশ যানজট যেন না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে। আশ করছি এবার ভোগান্তিমুক্ত ঈদ যাত্রা হবে। উত্তরের মানুষ স্বস্তিতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবেন।’
এসএকে/