মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৬ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রকাশিত হয়েছে আবুল ফাতাহ কাসেমীর নতুন বই ‘ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক ধারণা’ সহিহ বুখারী মুখস্থ করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন চার কওমি শিক্ষার্থীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে: মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ রমজানে সরকারি অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান চরমোনাই পীর শৈলকুপায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উমেদপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন মেলায় এসেছে আল্লামা তাকি উসমানীর গ্রন্থ ‘মুনাফিকের তরজমা’ মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবির সিদ্ধান্তে দেওবন্দের উদ্বেগ আজ রাতেই টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জমিয়ত ও এবি পার্টির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

খেজুরের আমদানি বাড়ল, দাম কিছুটা কমলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রোজা এলে চাহিদা বাড়ে খেজুরের। গত বছর রমজানে খেজুরের দাম বাড়লেও সেটা সহনীয় রাখতে এবার রোজার তিন মাস আগে খেজুরের শুল্ক–কর কমানো হয়। তাতে আমদানিতে খরচ কমে যায়। এবং বাড়তে শুরু করেছে আমদানিও।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেজুর আমদানি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১৯ হাজার ৬৮৮ টন। অবশ্য ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, রোজায় খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন। বন্দর দিয়ে এখন প্রতিদিন খেজুর খালাস হচ্ছে। তাতে রোজা শুরুর আগে খেজুরের আমদানি চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

বাজারে ১৫ থেকে ২০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। আবার একই খেজুরের ভিন্ন ভিন্ন দাম রয়েছে। গত বছরের দামের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, সাধারণ মান থেকে উন্নত মানের খেজুরের দাম কেজিতে কমেছে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।

সরকারের খেজুর আমদানি শুল্ক–কর কমানোর সুফল পাচ্ছেন ভোক্তারা। আমদানিতেও অনেকে যুক্ত হয়েছেন। তবে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে শুল্কায়ন মূল্য (যে মূল্যের ওপর শুল্ক–কর হিসাব করা হয়) কমানো হলে শুল্ক–কর আরও কমতো। ভোক্তারাও আরও কম দামে খেজুর কিনতে পারতেন।

গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম স্টেশন রোডে খেজুরের পাইকারি বাজার ফলমন্ডিতে দেখা যায়, ইরাকের ‘জাহিদি’ খেজুর গত বছর রোজায় বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি। এবার একই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। মাঝারি আকারের মেডজুল গত বছর বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি। এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩২০ টাকা কেজি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দাব্বাস খেজুর ৩০০-৩৬০ টাকা, মাশরুখ ৪০০ টাকা, সাফারি ৬০০ টাকা, সৌদি আরবের আম্বর ৬০০ টাকা, নাকাল ২৮০ টাকা ও ছড়া খেজুর ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একটু দামি খেজুরের মধ্যে মান অনুযায়ী আজোয়া ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, মেডজুল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, মিসরের আম্বর ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং চট্টগ্রামের খেজুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আল্লাহর রহমত স্টোরের কর্ণধার মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম করভার কমানোর কারণে এ বছর আমদানি বেশি হয়েছে। এই রোজায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি নেই। দামও কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

পাইকারির মতো খুচরা বাজারেও খেজুরের দাম কমছে। রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাব্বাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে মানভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৪২০ টাকায়, নাকাল ৩২০-৩৫০ টাকা, জাহিদি ২২০-২৫০ টাকা, আজোয়া ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা এবং মেডজুল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ