পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৮টি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং পরিদর্শক মো. নাইম হোসেন।
অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে ৮টি ইটভাটার মালিক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া পরিবেশ ক্ষতি রোধে ট্রাক্টর ও স্কেভেটরের সাহায্যে কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড)-এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল মজিদকে ৩ লাখ টাকা, হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গার এসকে এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলামকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার সান ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী কাউসারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উসমানপুরের এস+এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাজাহানকে ১ লাখ টাকা এবং একই এলাকার এজিকে ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী গাফ্ফার ফারাজীকে ২ লাখ টাকা টাকা অর্থদণ্ড করেন।
এছাড়া পারদুর্গাপুরের এমএসবি ব্রিকস (রূপান্তরিত জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী একলাসকে ৩ লাখ টাকা, দামুড়হুদা উপজেলার স্কাই ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর ম্যানেজার বাবুল হোসেনকে ২ লাখ টাকা ও একই উপজেলার সনি ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলমকে ২ লাখ টাকাসহ মোট ১৯ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘অভিযানের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। জেলার পরিবেশ রক্ষায় এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরএইচ/