চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য কিরণ ছড়ালেও হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা শহরসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা জেলা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ শুক্রবার কুয়াশার পরিমাণ কম হলেও শীতের তীব্রতা বেশি।
ভোরের আলো ফুটলেও কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে বাড়ির বাইরে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আব্দুর রহিম নামের এক কৃষক বলেন, ‘এবার ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপণ করেছি। ভোর থেকেই পরিচর্চা করতে হচ্ছে। এমনিতেই হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে হিমেল বাতাসে আরও বেগতিক অবস্থা। কিছুই করার নেই। পরিচর্চা করতে তো হবেই।’
এদিকে শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিতে বেশি ভুগছেন শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। এদের মধ্যে বেশি সমস্যা বয়স্কদের। শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধিও। প্রতিদিন জেলার সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে চিকিৎসকরা নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
এনএ/