বরিশাল ব্যুরো>>
বরিশাল বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সাত বছর পর বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বরিশালের মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি ছরোয়ার হোসেন।
মহানগর বিচারিক হাকিম নুরুল আমিন নালিশি অভিযোগ এজাহার হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন- বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এছাড়াও অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, পিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অপর দুই ভাই কারান্তরীন সেরনিয়াবাত মইনউদ্দীন আব্দুল্লাহ এবং আশিক আব্দুল্লাহ, বাকেরগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়া, উজিরপুরের সাবেক পৌর মেয়র গিয়াস ব্যাপারী, আলোচিত ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন রিপন, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রইচ আহম্মেদ মান্না, সাবেক কাউন্সিলর রাজীব খান, সৈয়দ সামসুদ্দোহা আবিদ, আউয়াল মোল্লা, খান মোহাম্মদ জামাল, সামজেদুল কবির বাবু, জয়নাল আবেদীন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান হাওলাদারসহ নামধারী ২১০ জন।
এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতায় হত্যার উদ্দেশে হামলা করে মারধর, বিএনপির নেতাকর্মীদের গুরুতর ও সাধারণ জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নালিশিতে বাদী অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য সদর রোড দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের রওয়ানা দেয়। সদর রোড পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০০-৪০০ নেতাকর্মীরা রামদা, জিআই পাইপ, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হামলা করে।
মামলার প্রধান সাক্ষী বিএনপির দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁনকে পিস্তল ঠেকিয়ে কিল, ঘুসি দিয়ে আহত করেছে। এছাড়াও অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কেএল/