সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৮ পৌষ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


সুনামগঞ্জে নববধূকে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে বিয়ের ৫ দিন না যেতেই নববধূকে রেখে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর আগে স্বামী তার মোবাইলে নিজের জবানবন্দি রেকর্ড করে রেখে গেছেন। মৃত স্বামীর নাম হারিছ মিয়া (২৫)। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা নয়াপড়া গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।

শনিবার সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের লাকমা গ্রামের বাসিন্দা হারিছ মিয়া পেশাগতভাবে একজন কৃষক ও কয়লাশ্রমিক। তার সাথে একই গ্রামের এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। কিন্তু হারিছ মিয়ার পরিবারের লোকজন তা জানতো না। গত সপ্তাহখানেক আগে তাদের দুজনের সম্পর্ক দুই পরিবারের লোকজন জানতে পারে। কিন্তু একই এলাকার বাসিন্দা হওয়াসহ পরিবারিক সমস্যার কারণে হারিছের সাথে তার প্রেমিকার সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে নেয়নি।

অবশেষে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে হারিছ মিয়াকে তার পরিবার জোর করে অন্যত্র বিয়ে করায়। কিন্তু হারিছ মিয়া তার প্রেমিকাকে ভুলতে পারেনি। নববধূকে রেখে তার প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করে। আর এই ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হারিছের প্রেমিকাকে তার পরিবারের লোকজন একই গ্রামে বিয়ে দিয়ে দেয়। তাতে প্রেমিক হারিছ মর্মাহত হয়ে পড়ে। এ দিন রাত ৩টার দিকে সবাই যখন গভীর ঘুমে, তখন হারিছ মিয়া নববধুর উড়না গলায় পেছিয়ে বাড়ির পাশে একটি গাছের ঢালে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

মৃত্যুর আগে হারিছ মিয়া তার মোবাইলে রেকর্ড করে রেখে যান জবানবন্দি। সেই রেকর্ডে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে স্বীকারোক্তি রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

এ ব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এসআই কামাল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ