শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২২ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাখাল রাহা, সোহেল ও ধর্ষক আলেপের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ ফরায়েজী আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে অনুরোধ করবেন ধর্ম উপদেষ্টা রাসুলুল্লাহ ﷺ- এর অবমাননার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ খিলগাঁওয়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয়: ড. ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মুসলমানরা এখনও পরাধীন; আরেকটা বিপ্লব হবে: আব্বাসী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী রাখাল রাহার বিচার করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম ‘উচ্চ আদালত ও উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারা হতাশাজনক’

চরমোনাই মাহফিলে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক মজলিস আমিরের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
চরমোনাই মাহফিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক

|| আমানুল্লাহ নাবিল মামদুহ ||

চরমোনাই মাহফিলে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক।

তিনি বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামী চারটি পক্ষ রয়েছে, যাদের সাথে আমাদের ঈমান, তাওহিদ ও রিসালাত ছাড়া কিছু শাখাগত, ফিকহি মাসালাগত ও আকিদাগত সামান্য মতপার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা সবাই একটি কথায় একমত যে আমরা সবাই আল্লাহর জমিনে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চাই।

দেওবন্দি ধারার বাইরে জামায়াতে ইসলামী, সুন্নি এবং আহলে হাদীস আন্দোলনকে সাথে নিয়ে আগামী দিনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সকল ইসলামী ধারা বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত চায় বলে আমি মনে করি। অতএব, ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে সকলে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য গড়ে তুলি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)  দুপুরে ঐতিহাসিক চরমোনাই'র বার্ষিক মাহফিলের ২য় দিন দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, আজকে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের হাতে অনেক বড় সুযোগ এসেছে। আমরা যদি এ সুযোগে ইসলামকে বিজয়ী করতে না পারি, তবে আগামী দিনে এই জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উলামায়ে কেরামের সামনে এক ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। আর এর কারণে তাদের কাঁধে দায়িত্ব ও জিম্মাদারী এসেছে। আকাবিরদের দায়িত্বের বোঝা আমাদের উপরে। আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া একটি সুন্দর প্লাটফর্মের উপর দাঁড়িয়ে আল্লাহর দ্বীনের কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সুতরাং এ জাতিকে যদি আমরা সঠিক নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হই, আমাদেরকে অনেক বড় মাশুল দিতে হবে দুনিয়াতে ও আখেরাতে।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের জাতীয় চাহিদা হলো ইসলামপন্থীরা এগিয়ে আসুক, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি বাংলাদেশের ইসলামপন্থার মধ্যে ঐক্য ও সংহতির সংস্কৃতি উপস্থাপন করে বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে একটি বাক্স দিতে চাই।

এসময় মাওলানা মামুনুল হক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও চরমোনাই পীর সাহেব প্রসঙ্গে বলেন ওলামায়ে দেওবন্দের ধারায় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই এখন ঐক্যের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম সাহেব এটা করে দেখাতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ