শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৪ মাঘ ১৪৩১ ।। ১৮ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত আলেম-ওলামা: হিন্দু মহাজোট মহাসচিব আজই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেবে ইসরায়েল ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন পাবেন সরকারি ভাতা: অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের ফতোয়া প্রতিযোগিতা ২২ জানুয়ারি পিআর (PR) পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়: চরমোনাই পীর ‘৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না’ যারা সংস্কারে বাধা দিচ্ছেন তারা দীর্ঘ ১৬ বছর কোথায় ছিলেন? বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু সংরক্ষিত আসন মানি না, সরাসরি নির্বাচন করবে নারীরা: মুফতি ফয়জুল করীম ইমাম-মুয়াজ্জিনরা পাচ্ছেন ভাতা, কে কত? আওতায় আসবেন পুরোহিতরাও

গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে আলেম নির্যাতনের ইতহাস অন্তর্ভুক্তির দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নেতৃবৃন্দ। ছবি: যমুনা টিভির ভিডিও থেকে

|| হাসান আল মাহমুদ ||

গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে আলেম নির্যাতনের ইতহাস অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছে ইসলামিক রাজনৈতিক দলেগুলোর নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসলামিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

হেফজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘোষণাপত্রের খসড়া আমরা দেখেছি। সেখানে ‘যেহতেু যেহেতু’ বলে অনেকগুলো বিষয় আনা হয়েছে। তাই, এসব বিষয়ের সঙ্গে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যাকেও সংযোগ করতে হবে।

তিনি জানান, ২০২১ সালে পাখির মতো গুলি করে ওলামায়ে কেরামকে হত্যা করা হয়েছে, আলেমদের গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে, সেসব এখানে উল্লেখ থাকার দাবি জানিয়েছি।

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে ‘বিপ্লবী সরকার’। আমরা এ সরকারের পাঁচ মাসের কার্যক্রমে বিপ্লবের কিছুই দেখি নাই। সুতরাং সরকার বিপ্লবী হবে। পরাজিত শক্তির দোসর এবং তাদের সহযোগীদের যে যেখানে আছে প্রত্যেককে ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তি ও তাদের সহযোগিদের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। দেশ গঠন করার জন্য যে ঘোষণাপত্র দেয়া হবে, সে ঘোষণাপত্র যেন ঐক্যবদ্ধভাবে হয়, এতে যেন অনৈক্যের সৃষ্টি না হয়, সে কথা আমরা বলেছি।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের জানান, এই ঘোষণাপত্রে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা, শাপলচত্বর, বিডিআর হত্যাকান্ড এগুলোর কোনো আলোচেনা আসে নাই, সেসব উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র ঐক্যবদ্ধভাবে হওয়া দরকার, যাতে এ ঘোষণাপত্রে এমনকিছু যেন লেখা না হেয়, যাতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করেছে, তাদের যেন আঘাত না লাগে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন জানান, আমরা সরকারের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে কিছু সংশোধনীসহ ঐক্যমত পোষণ করেছি। বিগত দিনে যারা ১৫-১৬ বছর বিভিন্নভাবে নির্যারিত হয়েছে, জুলুমের শিকার হয়েছে, বিশেষভাবে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের আন্দোলন, ২০২১ সালে আলেমদেরকে ব্যাপকভাবে যে নির্যাতন করা হয়েছে এসব হিস্ট্রোরি আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ১৩ থেকে নিয়ে ২০২৪ পর্যন্ত সবকিছু সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেছি। আশা করছি, সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ