বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১১ পৌষ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ শূরায়ি নেজামের তিন দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আব্দুল্লাহ আল কাসিম ||

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সাদপন্থীদের নৃশংস হামলা ও তাবলিগ জামাতের চলমান সমস্যা ইস্যুতে আলমি শূরায়ি নেজামের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে ওলামা-মাশায়েখের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী। এ সময় মুফতি আমানুল হক, মাওলানা শাহরিয়ার, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়াসহ ছয় শতাধিক আলমি শূরায়ি অনুসারী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্ব ইজতেমার টঙ্গীর মাঠ রক্ষণাবেক্ষনের দায় দায়িত্ব বিগত বৎসরগুলোতে শুরাই নেজামের উপর পরিপূর্ণরূপে ন্যাস্ত ছিল। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, গত ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং রোজ মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে আসন্ন বিশ্ব ইস্তেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতি ও মাঠের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত তাবলীগ জামাতের সাথী ও মাঠে অবস্থিত মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু এবং তাদের শিক্ষকদের উপর বিনা কারণে সাদপন্থীরা বর্বররোচিত ও পৈশাচিক হামলা চালায়। রামদা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রডের মত ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ও নামাজরত নিরীহ-নিরস্ত্র তাবলীগ জামাতের সাথীদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। ইতিহাসের এই বর্বররোচিত হামলায় শুরাই নেজামের তিন জন সাথী নিহত এবং শত শত সাথী মারাত্মকভাবে আহত হয়। সাদপন্থীরা এতটাই হিংস্র হয়ে উঠে যে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের উপরও হামলা চালাতে দ্বিধাবোধ করেনি।’

আরও বলা হয়, সাদপন্থীরা একই কায়দায় গত ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরেও একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলীগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদেরকে রক্তাক্ত করে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থীরা তাবলীগী নয়; বরং তারা সন্ত্রাসী-চরমপন্থী বাহিনী, যারা গত ১৭ তারিখ দিবাগত রাত্রে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের মূল হোতা সহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সাথে আরো বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাত্রে টঙ্গি মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অবস্থার দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজস করে সাদপন্থীদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীল নকশা করেছিলো। তাদের এ নীল নকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরাইলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।

এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়।

এক. বারবার আক্রমণকারী এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

দুই. গত ১৭ ই ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরের হামলার সাথে জড়িত সকল আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

দুই. কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠ সহ তাবলীগের সকল কার্যক্রম শুরাঈ নিজামের অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় ১৭ ই ডিসেম্বর গভীর রাত্রে ঘুমন্ত ও নামাজ রত সাথীদের উপর সাদপন্থী কর্তৃক জঘন্য হামলাকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হিসেবে প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সকল সাংবাদিকদের সবিনয়ে অনুরোধ জানায়।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ