আব্দুস সামাদ আজিজ, লালবাগ প্রতিনিধি:
রাসূল সাঃ এর আদর্শ ছাড়া রাষ্ট্র পুনর্গঠন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগের মুহাদ্দিস মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।
২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার লালবাগের আজাদ ঈদগাহ মাঠে ইমাম-উলামা ও মুসল্লীদের উদ্যোগে আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। দরকার ছিল পরিবর্তনের। কারণ, এতো লম্বা সময় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করা যায় না। তাই ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশটাকে স্বৈরাচারীর হাত থেকে মুক্ত করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র যারা সংস্কার করছে, তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি।
ইসলামী ঐক্যজোটের এই নেতা বলেন, বিগত ষোলো বছরে কেবল ধর্মীয় সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন নয়, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক কাঠামো , ব্যবসা-বাণিজ্যের মৌলিক বিষয়সহ রাষ্ট্রীয় সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, যতই বাংলাদেশের বয়স বাড়ছে, ততই চোর সহ বাড়ছে দূর্নীতি, ব্যাংক, শেয়ার লুট করে বিদেশে টাকা প্রাচারকারীর সংখ্যা। ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর নির্বাচন ব্যবস্থা কলাগাছ ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে।
দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরের মেরামত সম্পর্কে আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার ভয়ের জায়গা হচ্ছে, যদি সঠিকভাবে মেরামত না করা যায় তাহলে দেখা যাবে একদল চোরের পলায়নের পরে আরেকদল চোর অর্থাৎ দীর্ঘদিন যারা খেতে পারেনি তারা দেশের নানা জায়গায় ইচ্ছেমত খাবে।
রাষ্ট্র পুনর্গঠনের ফর্মুলা একমাত্র ধর্ম সম্পর্কে সচেতনকারীদের কাছেই আছে দাবী করে তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর আদর্শ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে গত তিপ্পান্ন বছরে যা উন্নত হয়েছে, এর চাইতে আরও হাজারগুণ উন্নত হবে দেশ।
জনপ্রিয় এই ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, আলেম-ওলামারা মৌলবাদী, উগ্রবাদী, সাম্প্রতিক নয় এটার প্রমাণ আরও ভালো করে দেশবাসী পেয়েছে গত ৫ই আগষ্টের ক্রাইসিস মুহূর্তে। কেননা, তখন বাংলাদেশের অমুসলিমদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য সবচাইতে বেশি কাজ করেছে আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তাই এদেশে যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে অমুসলিমদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সবাই নিরাপত্তা ও শান্তি পাবে।
সিরাত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আরিফ বিন হাবিব প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্বারী আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী।
মধ্য রাত পর্যন্ত চলা বিশাল এই সম্মেলন শেষ হয় প্রখ্যাত আলেম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন হাফি. এর গুরুত্বপূর্ণ নসীহত ও দোয়ার মাধ্যমে।
হাআমা/