সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| হাসান আল মাহমুদ ||

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে রাজনৈতিক মহলে। নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে প্রার্থীও ঘোষণা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দলীয় প্রতীক থাকলেও এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে জামানতের বিধানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক উপজেলায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখা। জাতীয় নির্বাচন থেকে আরও ভালো নির্বাচন হবে উপজেলা নির্বাচন। এজন্য যা যা করার দরকার তা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

এদিকে ইসলামি দলগুলো উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হয় দলগুলোর কাছে।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ জানান, ‘এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’।

আপনারা তো চলমান সরকারের অধীনে গত কয়কটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তাহলে উপজেলা নির্বাচনে কেন অংশ নিবেন না? প্রশ্ন রাখলে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন তো বিতর্কিতভাবেই হয়ে গেলো। দেশের মানুষের এর প্রতি প্রচন্ড্র ক্ষোভ। পরপর সেই বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলা নির্বাচনকেও আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি না’।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ‘ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আমাদের সিদ্ধান্ত আগের মতোই বহাল থাকছে।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ‘চলমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমাদের দল অংশ নিবে না’।

তিনি বলেন, ‘যে সরকার আলেমদের উপর নির্যাতন চালায়, আলেমদের বন্দি করে রাখে, গণমানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, তাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না’।

‘গত জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে ইসলামী ঐক্যজোট। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচেনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি’। তেমনটিই জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হুসাইন

তবে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বক্তব্য ভিন্নরূপ। দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, আমাদের দল থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ উপজেলায় গণসংযোগ করতে বলা হয়েছে।

‘তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি’।-জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। এরপর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের ভোট হবে আগামী ২৯ মে। এরপর চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। সব মিলিয়ে এবার ৪৮৫ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ