সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


নির্বাচনে যাচ্ছে না ৪ ইসলামী দল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আদিয়াত হাসান ||

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে না নিবন্ধিত চার ইসলামী দল। দলগুলো হলো- চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, শায়খ জিয়াউদ্দীন নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস।

জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে ১১টি ইসলামী দল। এর মধ্যে ৭টি দল ইতোমধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম জানিয়েছেন, ২০১৪-১৮ সালে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সম্ভব নয় বিধায় আমরা বার বার বলে আসছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য, কিন্তু সরকার দেশের জনগণ ও আমাদের দাবীকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করে দেশকে মহাসংকটের দিকে ধাবিত করেছে।

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ জানান, আমাদের পর্যবেক্ষেণ অনুযায়ী বর্তমানে নির্বাচেনের কোনো পরিবেশ নেই। আমরা আবারও দাবি করছি, ঘোষিত তফসিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করা হোক। এর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকারও নিশ্চিত হবে।

এদিকে শায়খ জিয়াউদ্দীন নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র একাধিক নেতা আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অনঢ় অবস্থানে রয়েছে জমিয়ত। সরকার চাইলেই ঘোষিত এই তফসিল পিছিয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে। আমরা আশা করবো, শেষ মুহূর্তে এসে হলেও সরকার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে উদ্যোগ নেবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ