আবদুল্লাহ তামিম।। দাওরায়ে হাদিসে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মাদানীনগর মাদরাসার তরিকুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৪৭
আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষার ফল আজ দুপুর ২টায় প্রকাশ করা হয়েছে।
এ পরীক্ষায় মাদরাসা সংখ্যা মোট ২২৪৮ টি। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল মোট ১৭১৬৬৬ জন।
গনমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিশাল কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন স্তর– নিবন্ধন, পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তি, প্রশ্নপত্র তৈরি ও কেন্দ্রসমূহে প্রেরণ, পরীক্ষা গ্রহণ, খাতা দেখা, খাতা নিরীক্ষণ, ফলাফল তৈরি ইত্যাদি কাজে আন্তরিক সহায়তার জন্য মাদরাসাসমূহ, বোর্ড পরিচালকবৃন্দ এবং নেগরান, পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও অফিসকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত শ্রমপ্রদান ও ঐকান্তিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাইয়াতুল উলয়ার কর্মকর্তারা।
আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগর-ঢাকা (সংক্ষেপে মাদানীনগর মাদ্রাসা) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা- চট্রগ্রাম বিশ্বরোডের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির আলোকে ইদ্রিস সন্দ্বীপি ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর ভিত্তি প্রস্তর করেছেন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের তৎকালীন সভাপতি আসআদ মাদানি। মাত্র ১৬ জন ছাত্র নিয়ে এই মাদ্রাসার প্রথম শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে তার ছাত্র সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।
প্রতিষ্ঠাতা ইদ্রিস সন্দ্বীপি নিজ এলাকায় ৩০ বছর ধর্মীয় শিক্ষাদানে ব্যয় করার পর ঢাকার কাচপুর ব্রিজের অদূরে নিমাইকাশারী এলাকায় পৌছে সেখানে এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটিই মাদানীনগর হিসেবে খ্যাত। এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর পরিচালনার দায়িত্ব পান প্রতিষ্ঠাতার বড় পুত্র মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দ্বীপি। প্রায় চার বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসায় তিনটি ছাত্রাবাস (যথাক্রমে সাত তলা,ছয় তলা ও তিন তলা) ও একটি আট তলা বিশিষ্ট আধুনিক নির্মাণ শিল্পে সমৃদ্ধ মসজিদ রয়েছে।
-এটি