আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করছি, অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা হয়ত পরীক্ষাটি নিতে পারব।”
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সাম রেখে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসেই হচ্ছে। কিন্তু, যেহেতু পূর্ণ নম্বরে, পূর্ণ সময়ে সকল বিষয়ে পরীক্ষা হবে, তাই আমরা আমাদের নির্বাচনী পরীক্ষা যেটি হওয়ার কথা ছিল সেটিকে একটু পিছিয়ে ৩০ মে করে দিয়েছি। আমরা আশা করছি, অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা হয়ত পরীক্ষাটি নিতে পারব।”
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা জুলাইয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সিলেবাস শেষ না হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গত ১২ এপ্রিল বলেছিলেন, পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে অগাস্টে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। তবে দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
“অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাস শেষ হয়নি। ফলে এইচএসির নির্বাচনী পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ের পরিবর্তে এক মাস পিছিয়ে অগাস্টে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
চলতি বছর ১৫ মাস সরাসরি ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে কলেজগুলো। এর মধ্যে অনেক কলেজ সিলেবাস শেষ করতে পারেনি।
২০২৪ সালে পরীক্ষা নিয়ে শিগগিরই বৈঠক হবে জানিয়ে দীপু মনি মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব যে তাদের জন্যেও আমরা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে যাব কি না। আমরা চাই, পরীক্ষার সময়টাকে যতদূর সম্ভব এগিয়ে আনা যায়।
“এ বছরও চেয়েছিলাম, এর আগে তো নভেম্বর ডিসেম্বরে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি, এ বছর এসএসসি মেতে আর এইচএসসি হয়ত অগাস্টে নিতে পারব। পরের বছর স্বাভাবিক সময়ের আরও কত কাছে আসা যায় সেই চেষ্টা করব। কাজেই যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জন্যও হয়ত আমরা সিলেবাস পুনর্বিন্যাসের একটা চিন্তা করব।”
২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। তবে তাতে বাদ সাধে কোভিড মহামারী। ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
২০২২ সালের পরীক্ষা এগিয়ে আনার পরিকল্পনা হলেও বন্যার কারণে তা পিছিয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা হয় নভেম্বরে।
-এটি