আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। জিটিআই সূচকে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮২৭ স্কোর পেয়ে ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৪৩তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে অগ্রগতি অর্জনকারী দ্বিতীয় দেশ।
গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স (জিটিআই)-২০২৩ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ভিত্তিক বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস (আইইপি) সন্ত্রাস ট্র্যাকার এবং অন্যান্য উৎস থেকে ডেটা ব্যবহার করে জিটিআই এ রিপোর্টটি তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনে ১৬৩টি দেশের সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
জিটিআই সূচকে যে দেশের স্কোর যত বেশি, তার অবস্থান তত আগে এবং সেই দেশ তত বেশি সন্ত্রাসবাদের কবলে রয়েছে। জিটিআই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩ দশমিক ৮২৭। এ স্কোর বিবেচনা করা হয়েছে পাঁচ বছরে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি এবং আহত হওয়ার ঘটনাগুলো বিবেচনা করে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৮ দশমিক ১৬, ভারত ৭ দশমিক ১৭৩ এবং নেপাল ৪ দশমিক ১৩৪ স্কোর পেয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে নেপালের পরেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ। উভয় দেশই ২০২২ সালে দুটি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে এবং কোনো মৃত্যু হয়নি।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে মন্দ জিটিআই স্কোর অর্জনকারী দশটি দেশের মধ্যে দুটি হচ্ছে আ*ফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এই অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র ভুটানের জিটিআই স্কোর শূন্য, অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে কোনো সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়নি।
যদিও আ*ফগানিস্তান ২০২২ সালে উন্নতি করেছে, তবুও এটি ২০২২ সালে সবচেয়ে সন্ত্রাস-প্রভাবিত দেশ হিসেবে রয়ে গেছে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যু ৫৮ শতাংশ কমেছে। এ সংখ্যা এক হাজার ৪৯৯ থেকে ৬৩৩ পর্যন্ত নেমে এসেছে।
২০২২ সালে পাকিস্তান এই অঞ্চলে দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রভাবিত দেশ ছিল। আগের বছরের তুলনায় পাকিস্তানে হামলার সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে এবং ২৯৮টি হামলা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় এই প্রবণতা প্রতিফলিত হয়েছে এবং পাকিস্তানে ২০২২ সালে ৬৪৩টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৩৫১টি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
-একে