আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হজযাত্রীর নিবন্ধন শেষ হলেও কোটা পূরণ হয়নি। হজের খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় এবার আটবার সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হজের নিবন্ধনের সময় শেষ ছিল।
ইতোমধ্যে হজের নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও কোটা পূরণে ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি আছে।
মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হজ ২০২৩ এর নিবন্ধন কার্যক্রম ১১ এপ্রিল শেষ এবং নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। সেসব হজ এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৯৭-এর নিচে তারা আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে সমন্বয় করবে। সমন্বয়ের পরে হজ এজেন্সির বিপরীতে প্রযোজ্য গাইড ও মোনাজ্জেম সংখ্যা যোগ করে চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রির জন্য প্রেরণ করা হবে।
হজ এজেন্সির চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে পাঠানোর পর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পিলগ্রিম আইডি (পিআইডি) দেওয়ার জন্য সিস্টেমে উন্মুক্ত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।