শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

নামাজে 'খুশু' বা একাগ্রতা বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নামাজে একাগ্রতা দুটি স্তর রয়েছে। যথা: ১– সর্বোচ্চ স্তর। এটা ইহসানের হালত। এই অবস্থার বর্ণনা হাদিসে এভাবে এসেছে: “তুমি এমন ভাবে ইবাদত করো, যে আল্লাহকে তোমার সামনে দেখছো, আর যদি না দেখে থাকো, (অর্থাৎ, তোমার যদি ঐরকম অবস্থা সৃষ্টি না হয়, তাহলে এটা অনুভব করো যে,) আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।

এই দুই অবস্থার কোন এক অবস্থা যদি ইবাদতে তৈরি হয়, তাহলে সেটা হবে ইবাদতের সর্বোচ্চ স্তর। ১– সর্বনিম্ন স্তর। এটা ঐ অবস্থা, যখন নামাজি তার নামাজে পাঠ করা প্রতিটি সূরা ও তাসবীহের প্রতি মনোযোগ রেখে নামাজ পড়ে। কখনো মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হলে আবার মনোযোগ নিবদ্ধ করে।

এটা ইবাদতের সর্বনিম্ন স্তর। স্বভাবতই প্রথমেই কেউ লাফ দিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারে না। ধাপে ধাপে সামনে এগোতে হয়। এজন্য শুরু করতে হবে প্রথম স্তর থেকে। এর সাথে নামাজের পর দুটি কাজ করতে করতে হবে নিয়মিত। তাহলে খুব সহজেই পৌঁছা যাবে সর্বোচ্চ স্তর ইহসানের হালতে।

দুটি কাজ হলো: ১– নামাজের পর শোকর করতে হবে। এই চিন্তা-বোধ থেকে যে, আমার তো নামাজে আসার ক্ষমতা ছিল না, কিংবা মনও চাচ্ছিলো না কষ্ট করে এসে নামাজে শরিক হতে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তাওফিক দিয়েছেন। তাই, আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর।

আর, আল্লাহ তো বলেছেন: “যদি তোমরা শোকর করো, আমি বাড়িয়ে দেবো।” তো নামাজ আদায়ের পর যদি আল্লাহর শোকর করা হয়, তাহলে আল্লাহ নামাজ আদায়ের তাওফিক আরো বাড়িয়ে দেবেন। এটা আল্লাহর ওয়াদা।

২– আল্লাহর শান মোতাবেক যথাযথভাবে (যেটা কখনো পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয়।) ইবাদত করতে না পারার কারণে, আল্লাহর কাছে ইসতেগফার করা।

নামাজের পর। নামাজের প্রতিটি রুকন এর প্রতি খেয়াল করে চিন্তা করা, আমার কিয়াম, আমার রুকু, আমার তেলাওয়াত–কি যথাযথ আদায় হলো? নিজে নিজের নামাজের হিসাব নেওয়া।

এরপর খাঁটি দিলে, নিজের দূর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এজন্য রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পর তিন বার ইসতেগফার করতেন। আর আল্লাহ তো ওয়াদা করেছেন, যতো বড় গোনাহ কিংবা ত্রুটি হোক না কেন, (যদি খাঁটি দিলে ইসতেগফার করা হয়) তাহলে তাহলে আল্লাহ সব ক্ষমা করে দেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে আমলের তাওফিক দিন। নামাজে খুশু খুজু অর্জনের তাওফিক দিন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ