শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

৭০ বছর বয়সে কোরআনে হাফেজ হলেন আয়েশা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জীবনের শুরুর দিকে কোরআন হেফজ করতে পারেননি। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ ছিল না ফিলিস্তিনি নারী আয়েশা বেগমের। তাই ৬৫ বছর বয়সে যখন সুযোগ হলো তখনই তিনি নেমে পড়েন কোরআন আত্মস্থ করায়। অবশেষে পাঁচ বছরের চেষ্টায় ৭০ বছর বয়সে তিনি কোরআনের হাফেজ হতে সক্ষম হয়েছেন। খবর আলজাজিরা।

খবরে বলা হয়, কোরআনকে হৃদয়ে ধারণ করতে না পারার শূন্যতা আয়েশা তার জীবনে খুব তীব্রভাবে অনুভব করছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জীবন সাধারণ আর যে কোনো দেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ হয়নি হাফেজ হওয়ার। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও তার সেই স্পৃহায় কোনো ভাটা পড়েনি। বরং কোরআন হেফজের আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে। সে কারণে ৬৫ বছর বয়সে এসে তিনি ঠিক করেন, আর দেরি নয়, এবার যেভাবেই হোক পবিত্র কোরআন মুখস্থ করবেন তিনি।

মহান আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা করে শুরু করেন হিফজ করা। তবে একজন মানুষ শিশুবেলায় যতটা সহজে হিফজ করতে পারে, বৃদ্ধ বয়সে সেটা অনেক গুণ কঠিন হয়ে যায়। তারপরও চলতে থাকে আয়েশা বেগমের পথ চলা। তবে মাসের পর মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও কোরআন হিফজ শেষ না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই হতাশা ঘিরে ধরে তাকে। তবে সে সময় পাশে এসে দাঁড়ান স্বামী। তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেন, হাফেজ হতে হলে তো দমে যাওয়া যাবে না।

তার উৎসাহ ও সাহসে আবার শুরু করেন। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর শেষে এক সময় সফল হন আয়েশা। বয়স আর হতাশাকে জয় করে শেষ করেন কোরআন হেফজর কাজ। ৭০ বছর বয়সে এসে জীবনের অতৃপ্তি মিটেছে তার।

তবে তিনি চান, তার মতো আর কেউ যেন এমন আফসোস না করে। প্রত্যেকেই যেন জীবনের শুরুতেই কোরআন মজিদ হৃদয়ে ধারণ করে নেয়। আর সে লক্ষ্যে তিনি নাতিদের ছোট থেকেই কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ