আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামি চিন্তাবিদ ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী মাহে রমজানে অনেকবার কুরআন খতম করার সহজ নিয়ম বলে দিয়েছেন।
হাদিসে আছে, যখন রমজান আসে বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকল পড়িয়ে দেয়া হয়। [বুখারি ও মুসলিম]
রমজান মাস হলো সে মাস, যাতে আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য হেদায়েত ও সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পায়, সে যেন তাতে রোজা পালন করে। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৩)।
অল্প অল্প করে নিয়মিত কুরআন পড়লে কুরআন নাজিলের মাসে কুরআন পড়লে কুরআন খতম করা যায়। প্রতি নামাজের পূর্বে বা পরে ৪ পৃষ্ঠা পাঠ করলে ৩০ দিনে এক খতম হবে।
কোনো নামাজের সময় পড়তে না পারলে এ দিনই অন্য সময় পড়ে নিতে হবে। প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ২ খতম
১৬ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৪ খতম এবং ২০ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৫ খতম হবে।
কোরআন শরীফ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকি হয়। পড়তে না জানলে কোরআন শরীফে খুলে আল্লাহর পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সাথে তাকিয়ে থাকলেও সওয়াব পাওয়া যায়।
বুঝে পড়লে আরো বেশী নেকি হয়। রমজান উপলক্ষে নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।
আমাদের মহান ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিত রহ. রমজানের দিনে ১ রাতে ১ খতম হিসাবে একমাসে মোট ৬০ খতম করতেন। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে তাইমিয়া রহ. জেলখানায় ৮০ তম খতমের সময় কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় সেখানেই শাহাদত বরণ করেন।
আল্লাহর খাস বান্দারা এখনও এ ধরণের ইবাদতই করে থাকেন।আসুন, আমরা হাফেজ আলেমগণের মতো ৫/১০ বা ২/৪ খতম কিংবা কমপক্ষে ১টি খতম হলেও করার নিয়্যত করি।
-এটি