আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।।
★গুনাহের শাস্তি অবশ্যই হবে
وَ ذَرُوۡا ظَاہِرَ الۡاِثۡمِ وَ بَاطِنَہٗ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡسِبُوۡنَ الۡاِثۡمَ سَیُجۡزَوۡنَ بِمَا کَانُوۡا یَقۡتَرِفُوۡنَ
সূরা আনআমের ১২০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা প্রকাশ্য পাপ কাজ পরিত্যাগ কর এবং পরিত্যাগ কর গোপনীয় পাপ কাজও। যারা পাপ কাজ করে তাদেরকে অতি সত্ত্বরই তাদের মন্দ কাজের প্রতিফল দেয়া হবে।
★ অপচয়কারীকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন
وَ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ جَنّٰتٍ مَّعۡرُوۡشٰتٍ وَّ غَیۡرَ مَعۡرُوۡشٰتٍ وَّ النَّخۡلَ وَ الزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا اُکُلُہٗ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِہًا وَّ غَیۡرَ مُتَشَابِہٍ ؕ کُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِہٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَ اٰتُوۡا حَقَّہٗ یَوۡمَ حَصَادِہٖ ۫ۖ وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
আল্লাহ পাক সূরা আনআমের ১৪১ নম্বর আয়াতে বলেন, আর সেই আল্লাহই নানা প্রকার বাগান ও গুল্মলতা সৃষ্টি করেছেন যার কতক স্বীয় কান্ডের উপর সন্নিবিষ্ট হয়, আর কতক কান্ডের উপর সন্নিবিষ্ট হয়না; আর খেজুর বৃক্ষ ও শস্যক্ষেত্র যাতে বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে, আর তিনি যাইতুন (জলপাই) ও আনারের (ডালিমের) বৃক্ষও সৃষ্টি করেছেন যা দৃশ্যতঃ অভিন্ন হলেও স্বাদে বিভিন্ন, এই সব ফল তোমরা আহার কর যখন তাতে ফল ধরে, আর তা হতে শরিয়তের নির্ধারিত যে অংশ রয়েছে তা ফসল কাটার দিন আদায় করে নাও, অপব্যয় করে সীমালঙ্ঘন করনা। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অপব্যয়কারী ও সীমালঙ্ঘনকারীকে
ভালবাসেন না।
★ শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু
وَ مِنَ الۡاَنۡعَامِ حَمُوۡلَۃً وَّ فَرۡشًا ؕ کُلُوۡا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ
সূরা আনআমের ১৪২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করনা, নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
★আমাদের ও আমাদের সন্তানদের রিজিক আল্লাহর হাতে
وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ مِّنۡ اِمۡلَاقٍ ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُکُمۡ وَ اِیَّاہُمۡ ۚ وَ لَا تَقۡرَبُوا الۡفَوَاحِشَ مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَ مَا بَطَنَ
আল্লাহ তাআলা সূরা আনআমের ১৫১ নম্বর আয়াতে বলেন, দারিদ্রতার ভয়ে নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবেনা। কেননা আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে জীবিকা দিই; আর অশ্লীল কাজ ও কথার নিকটেও যেওনা, তা প্রকাশ্যে হোক অথবা গোপনে।
★সর্বদা সঠিক কথা বলা উচিত
وَ اِذَا قُلۡتُمۡ فَاعۡدِلُوۡا وَ لَوۡ کَانَ ذَا قُرۡبٰی এই সূরার ৫২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেন, আর তোমরা যখন কথা বলবে তখন স্বজনের বিরুদ্ধে হলেও ন্যায়ানুগ কথা বলবে।
★ ইসলাম ধর্ম পালনেই প্রকৃত মুক্তি
وَ اَنَّ ہٰذَا صِرَاطِیۡ مُسۡتَقِیۡمًا فَاتَّبِعُوۡہُ ۚ وَ لَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِکُمۡ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ ؕ ذٰلِکُمۡ وَصّٰکُمۡ بِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ
আল্লাহ পাক সূরা আনআমের ১৫৩ নম্বর আয়াতে বলেন, আর নিশ্চয়ই এই পথই আমার সরল পথ; এই পথই তোমরা অনুসরণ করে চলবে, এই পথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ করবেনা, তাহলে তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে নিবে। আল্লাহ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা সতর্ক হও।
★ একটি নেকির কাজে দশ গুণ বেশি ছওয়াব পাওয়া যায় مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَہٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِہَا ۚ وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَہَا وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ আল্লাহ তাআলা ১৬০ নম্বর আয়াতে বলেন, কেউ কোন ভাল কাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে, আর কেউ পাপ ও অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু ততটুকুই প্রতিফল দেয়া হবে যতটুকু সে করেছে, আর তারা অত্যাচারিত হবেনা।
★কেয়ামতে কেউ কারো পাপ নিজ কাঁধে নিবে না
وَ لَا تَکۡسِبُ کُلُّ نَفۡسٍ اِلَّا عَلَیۡہَا ۚ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ۚ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ فِیۡہِ تَخۡتَلِفُوۡنَ
১৬৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে, কেউ কারো কোন বোঝা বহন করবেনা, পরিশেষে তোমাদের রবের নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে, অতঃপর তিনি তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করেছিলে সে বিষয়ের মূল কথা তোমাদেরকে অবহিত করবেন।
★ শয়তানের ধোঁকা থেকে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত
قَالَ فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَہُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ
ثُمَّ لَاٰتِیَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِہِمۡ وَ عَنۡ اَیۡمَانِہِمۡ وَ عَنۡ شَمَآئِلِہِمۡ ؕ وَ لَا تَجِدُ اَکۡثَرَہُمۡ شٰکِرِیۡنَ
قَالَ اخۡرُجۡ مِنۡہَا مَذۡءُوۡمًا مَّدۡحُوۡرًا ؕ لَمَنۡ تَبِعَکَ مِنۡہُمۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَہَنَّمَ مِنۡکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
সূরা আ'রাফের ১৬,১৭,১৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, (ইবলীস) বললঃ আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি - আমি আপনার সরল পথে অবশ্যই ওঁত পেতে বসে থাকব।
অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব, আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেননা।
তিনি (আল্লাহ) বললেনঃ তুই এখান থেকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় বের হয়ে যা, তাদের (বনি আদমের) মধ্যে যারা তোর অনুসরণ করবে, নিশ্চয়ই আমি তোদের সকলের দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব।
★ খানাপিনায় সীমালঙ্ঘন কর না
وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
আল্লাহ পাক সূরা আ'রাফের ৩১ নম্বর আয়াতে বলেন,
আর খাও এবং পান কর তবে অপব্যয় ও অপচয় করবেনা, নিশ্চয়ই আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালোবাসেন না।
★ ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত
وَ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِہَا وَ ادۡعُوۡہُ خَوۡفًا وَّ طَمَعًا ؕ اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰہِ قَرِیۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
এই সূরার ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, দুনিয়ায় শান্তি শৃংখলা স্থাপনের পর বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করনা, আল্লাহকে ভয়-ভীতি ও আশা আকাংখার সাথে ডাক, নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের অতি সন্নিকটে।
★ ওজনে কম দেয়া অনুচিত
فَاَوۡفُوا الۡکَیۡلَ وَ الۡمِیۡزَانَ وَ لَا تَبۡخَسُوا النَّاسَ
اَشۡیَآءَہُمۡ
আল্লাহ পাক সূরা আ'রাফের ৮৫ নম্বর আয়াতে বলেন, সুতরাং তোমরা ওজন ও পরিমাণ পূর্ণ মাত্রায় দিবে, মানুষকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবেনা। সূত্র: দীনিয়াত পেজ বাংলাদেশ
-এটি