বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনায় চিন্ময় কাজ করছিল’ অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা

নামাজ পড়তে গিয়ে অটোরিকশা হারিয়ে কাঁদছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে অটোরিকশা হারালেন আব্দুর রশিদ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মাওনা চৌরাস্তা পুকুর পাড় জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নামাজ পড়া শেষ করে বাইরে এসে অটোরিকশা না দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রিকশা চালক।

জানা যায়, মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে আসরের নামাজ পড়তে যান রশিদ। নামাজ শেষে এসে দেখেন অটোরিকশা নেই। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন আব্দুর রশিদ। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি যাওয়া অটোরিকশার খোঁজ করছেন তিনি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ সুনামগঞ্জের ছাতক থানার পুরান নোয়াকোট গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে। তিনি তিন মাস আগে পরিবার নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর শহরের তাজুর বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আব্দুর রশিদ জানান, ছোট বয়সে নৌকায় নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার ইঞ্জিনে বাম পা হারান। সব সময় মানুষের কাছে ছোট হয়ে থাকতে হয়েছে। বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান দেন, পাথর ভাঙার শ্রমিকরা মূলত তার কাস্টমার ছিল। এক সময় পাথর ভাঙা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাকে। পরে এলাকা ছেড়ে পরিবার নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে এসে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ৯০ হাজার টাকায় একটি অটোরিকশা কেনেন। অটোরিকশা কেনার মাস তিনেকের মধ্যে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের পরামর্শে সাপ্তাহিক ১৫০০ টাকা কিস্তিতে আশা এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অটোরিকশার ব্যাটারি কিনে তা সচল করেন। অটোরিকশা চালাতে থাকেন।

তিনি বলেন, আমি সারাদিন অটেরিকশা চালালেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। অটোরিকশা চালাতে চালাতে যখন নামাজের সময় হয় আমি আশপাশের মসজিদে নামাজ আদায় করি। বৃহস্পতিবারও মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে নামাজে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে দেখি অটোরিকশাটি নেই। এই রিকশাটিই ছিল আমার আয়ের প্রধান উৎস।

ওই সময় একই মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন বুলবুল হাসান। তিনি বলেন, প্রায়ই তিনি এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আমরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করি। নামাজে এসে যে অটোরিকশা হারাতে হবে এটা মানা খুব কষ্টকর। বিত্তবানদের তার পাশে দাঁড়ানো উচিত।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ