রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

শিশুদের যেভাবে রোজায় অভ্যস্ত করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। অন্যকে দেখে শিখতে পছন্দ করে। নিজ ঘরে মা-বাবাকে দেখেই অনেকে শৈশবে নামাজে দাঁড়াতে শেখে। নিজের অজান্তেই রবের সামনে রুকু, সেজদায় মাথা নত করে। বছর ঘুরে রমজান মাস এলে মা-বাবা, পরিবারের অন্যদের দেখে শিশুরাও রোজা রাখতে আগ্রহী হয়ে উঠে। ভোর রাতে সেহরির খাবারে না ডাকলে অনেক শিশু মৃদু অভিমানও করে বসে।

অনুকরণ থেকেই আমল ও ইসলামী বিধান পালনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হলেও শিশুদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ নয়। কারণ, ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ফরজ এই ইবাদতটি প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষদের জন্য ফরজ।

রাসুল সা. বলেন, তিন প্রকারের ব্যক্তি থেকে (হিসাব-নিকাশের) কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে—পাগল, ঘুমন্ত ব্যক্তি ও নাবালগ শিশু। -(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৪০১)

শিশুদের রোজা রাখার বিধান না থাকলেও শৈশব থেকে তাদের রোজায় অভ্যস্ত করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞ আলেমরা। যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর আগে থেকে অভ্যাসের কারণে রোজা রাখতে আর কষ্ট না হয়।

হাদিসের কিতাবগুলোতেও শিশুদের রোজা রাখতে উৎসাহিত করার বিভিন্ন ঘটনা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ রা. বলেন, ‘আশুরার দিন সকালে রাসুল সা. আনসারদের সব পল্লীতে এই নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি রোজা পালন করেনি, সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে; আর যারা রোজা রেখেছে, সে যেন রোজা পূর্ণ করে।

পরবর্তী সময়ে আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের সন্তানদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৬০)

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত ওমর রা. রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।

আলেমরা শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কথা বলেন-

এক. শিশুদের কাছে রোজার ফজিলত সম্পর্কিত হাদিসগুলো তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে সিয়াম পালন জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। জান্নাতের একটি দরজার নাম হচ্ছে আর-রাইয়্যান। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররা প্রবেশ করবে।

দুই. প্রথমদিকে দিনের কিছু অংশে রোজা পালন করানো। ক্রমান্বয়ে সেই সময়কে বাড়িয়ে দেয়া।

তিন. একেবারে শেষ সময়ে সেহরি গ্রহণ করা। এতে করে তাদের জন্য দিনের বেলায় রোজা পালন সহজ হবে।

চার. শিশুরা রোজা রাখলে প্রতিদিন বা প্রতিসপ্তাহে পুরস্কার দেয়া। এতে তারা রোজা পালনে উৎসাহিত হবে।

পাঁচ. ইফতার ও সেহরির সময় পরিবারের সব সদস্যের সামনে তাদের প্রশংসা করা। যাতে তাদের মানসিক উন্নয়ন ঘটে।

ছয়. যার একাধিক শিশু রয়েছে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা। তবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া শিশুটির প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করা না হয়।

সাত. যেসব পরিবারের শিশুরা রোজা রাখে তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য দিনে বা রাতের কিছু সময় নির্দিষ্ট করে নেয়া। যাতে তারা সিয়াম পালন অব্যাহত রাখার প্রেরণা পায়।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ