রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

যাদের জাকাত দেবেন, জেনে নিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হলো জাকাত। নেসাব (যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে জাকাত ফরজ) পরিমাণ সম্পদের মালিকদের জন্য জাকাত আদায় করা ফরজ।

পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর কাছে যদি নিজের ও পরিবারের সারা বছরের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানোর পর নির্ধারিত পরিমাণ ধনসম্পদ তার মালিকানায় এক বছর থাকে তাহলে সেই সম্পদের নির্দিষ্ট একটি অংশ ইসলামি শরিয়া নির্ধারিত খাতগুলোতে প্রদান করাকে জাকাত বলা হয়।

সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর জাকাত ফরজ হয় না। শুধু সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসার পণ্যে জাকাত ফরজ হয়। এ সব সম্পদের ওপর জাকাত দিতে হয়।

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সম্পদের আড়াই শতাংশ হারে জাকাত দেয়ার বিধান ইসলামে রয়েছে।

জাকাতের গুরুত্ব:

পবিত্র কোরআনে জাকাত শব্দটি আছে ৩২ বার। নামাজের সূত্রে জাকাত শব্দটি আছে ২৬ বার। স্বতন্ত্রভাবে চারবার এবং পবিত্রতা অর্থে দুবার কোরআনে জাকাত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া কখনো সদাকাত, কখনো ইনফাক শব্দ দিয়েও জাকাতকে বোঝানো হয়েছে।

জাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদত। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ১১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘নামাজ কায়েম কর এবং জাকাত আদায় কর। তোমরা নিজের জন্য পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন।’

জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-নিকাশ অতটা জানা থাকে না। এ ছাড়াও রমজানে জাকাত আদায় করলে জাকাতের মাধ্যমে সহানুভূতি প্রকাশ করা যায় এবং বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।

জাকাত সম্পর্কে সুরা আয-যারিয়াতের ১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধনসম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’

কাদের জাকাত দেবেন:

পবিত্র কোরআনের সুরা তাওবার ৬০ নম্বর আয়াতে জাকাতের খাত হিসেবে আট শ্রেণির লোকের কথা বলা হয়েছে।

ফকির: যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।

মিসকিন: যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদই নেই।

আমিল: জাকাত উশুলকারী। ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তি।

নওমুসলিম: নতুন যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন।

দাস মুক্তির জন্য: যারা লিখিত কোনো চুক্তির বিনিময়ে দাসে পরিণত হয়েছে। তাদেরকে মালিকের নিকট থেকে ক্রয়ের মাধ্যমে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাকাতের অর্থ প্রদান করা যায়।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি: যার ঋণের পরিমাণ এমন যে, ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।

আল্লাহর পথে থাকা ব্যক্তি: যেসব মুসলমান ধর্ম যুদ্ধে, জ্ঞানার্জনে কিংবা হজের পথে রয়েছেন এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।

মুসাফির: কোনো ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে তাকে জাকাত প্রদান করা যাবে।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ