আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টেকনাফের বাহারছড়া থেকে অপহৃত সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজপুরা এলাকার পাহাড়ের কাছে গরু চরাতে ও কাঠ সংগ্রহে গেলে অস্ত্রধারী একদল দুর্বৃত্ত তাদের ধরে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ, কক্সবাজার ডিবি ও স্থানীয় জনগণ পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, অপহৃত সাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পাহাড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকে। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে পুলিশের সদস্যরা কৌশলে সাঁড়াশি অভিযান চালান। সন্ধ্যার দিকে গহিন পাহাড়ের ঝোঁপে ওই সাতজনের সাড়া পাওয়া যায়।
তিনি জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাহাড়ের একটি সম্ভাব্য অংশ আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই সাতজনকে রেখে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাহারছড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অপহৃতদের উদ্ধার করতে তারাও পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় দিয়েছেন। গত দুই দিনে পাহাড়ের বেশির ভাগ অংশে পুলিশের সঙ্গে অভিযানে ছিল স্থানীয় অনেকেই। এবারের অভিযানে পুলিশের তৎপরতা ও আন্তরিকতায় স্থানীয়রাও সন্তুষ্ট বলে জানান। পরপর দুটি অপহরণ এবং পরবর্তী সময়ে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধারের ঘটনা অপহরণকারীদের জন্য অশনি সংকেত বলেও জানান তারা।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের পাশ থেকে গরু চরানোর সময় স্থানীয় সাত বাংলাদেশিকে অপহরণ করা হয়। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাহারছড়ার শীলখালী থেকে দুজনকে অপহরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। পুলিশের অভিযানে পরদিন তারা উদ্ধার হন।
এছাড়া গত বছর ১৮ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট স্থানীয় ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন। একইভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছিল।
-এসআর