আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হামলার ঘটনা আবারও প্রমাণ হলো আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনই সম্ভব নয়। তাদের চরিত্রই হচ্ছে তারা জোর করে ক্ষমতায় যাবে। তাদের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেটা তারা নিয়ন্ত্রণে নেবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন বিপন্ন হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের যে তথাকথিত নির্বাচন তা বাতিল করে পুনরায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে সরকার। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনে ইতোপূর্বে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রমাণ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে নগ্ন হস্তক্ষেপ, তা লজ্জার বিষয়। বাংলাদেশ যে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে এ ঘটনায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে পুলিশি আক্রমণে সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থীসহ শতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। ওই সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। এমনকি পেশাগত দায়িত্ব পালনে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী নির্যাতনের শিকার হন। এ ঘটনা পুরো জাতির জন্যই কলঙ্কজনক।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৪টি পদের সবকটিতে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ৩ হাজার ৭২৫ ভোট ও সম্পাদক পদে আব্দুন নুর দুলাল ৩ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ২৯৩ ভোট ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ৩০৯ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রথম দিন পাল্টাপাল্টি মিছিল, দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে উত্তপ্ত ছিল সুপ্রিম কোর্ট বার এলাকা। দ্বিতীয় দিনেও একই চিত্র দেখা যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।
কেএল/