আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।
তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেছিল একটি দায়রা আদালত।
আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেন ইমরান খান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত এ পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমীর ফারুক ইমরান খানের আবেদনটি আমলে নেন। ইমরানের আইনজীবি জানান, তিনি কাল শনিবার দায়রা আদালতে উপস্থিত হবেন।
এই সময় প্রধান বিচারপতি আমীর ফারুক জানান, ইমরান যেন তার কথা রাখেন। যদি কাল তিনি দায়রা আদালতে উপস্থিত না হন তাহলে এটি আদালত অবমাননার সামীল হবে। এমনটি হলে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আইনজীবি জানান, আদালতে ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সরকারের কাছেও তথ্যও আছে। এর জবাবে প্রধান বিচারপতি জানান, দায়রা আদালত অবশ্যই তার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমীর ফারুক পুলিশকে নির্দেশ দেন, দায়রা আদালতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত যেন ইমরান খানকে আটক না করা হয় এবং তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের দায়রা আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেছিলেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করে দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক জাফর ইকবাল। এরপর শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দারস্থ হন ইমরান।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা তোষাখানা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য নির্ধারিত দিন ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে সেদিন ইমরান খান আদালতে উপস্থিত না থাকায় অভিযোগ গঠন করা যায়নি।
তারপর অভিযোগ গঠনের জন্য আরও ৪ বার দিন নির্ধারণ করেন আদালত; কিন্তু একবারও ইমরান হাজির না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
-এসআর