আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিশপুরের তাওহিদী জনতার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৩ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর পূূূূর্বপাড়া হাটখোলা কবর বাসীদের রুুুহের মাগফিরাত কামনায় দুুুুইদিন ব্যাপী ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলের প্রথমদিনের অধিবেশন শুরু হয়।
মাহফিলের প্রধান অথিতি মজলিশপুর আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা মুুুফতী খলিলুর রহমান কাশেমী সাহেব বক্তৃতাকালে বলেন, আমরা মুসলমান। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের আক্বীদা বিশ্বাস হলো হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল।
তারপর নতুন করে কেউ নবী রাসূল হিসেবে আগমণ করবে না। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। উপরোক্ত বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। অথচ তথাকথিত ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও উল্লেখিত বিশ্বাসটি অস্বীকার করে।
যার ফলে তারা মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে যায়। তাদের নতুন এক ধর্ম বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা হলো কাদিয়ানী ধর্মমত। তাই বাংলাদেশ মুুুসলমানদের দেশে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। যা এদেশের মুুুসলমান ঈমানদারদের প্রাণের দাবী।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এটি কাদিয়ানীরা বিভিন্ন কৌশলে অস্বীকার করে ইসলামের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানায়।
ওক্ত দ্বীনি মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট জামিয়া নববীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খে বরুনার খলীফা হযরত মাওলানা ওসমান গণী ফারুকী সাহেব। মাহফিলে হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে-বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ কুরআন হাদীসের দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন এবং মুসলিম উম্মাহ'র কল্যাণ ও মাগফিরাত কামনা করেন।
-এটি