আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
শহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সুরমা ব্রিজের গোলচত্তর এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে।
ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন, সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সাইফুল ইসলাম মারা যান। রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজে তরুণ-তরুণীর টিকটক ভিডিও করার সময় বাধা দেন ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র রাজ্জাক, আহমদ আলীর পুত্র মান্নাসহ তাদের সহযোগীরা।
এ নিয়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মামুনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ নিয়ে প্রথমে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেছে। একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম হওয়ায় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
-এসআর