আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব সংঘর্ষের জের ধরে এ ঘটনা।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস্থ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের প্রায় পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও সোহরাওয়ার্দী হলের আটটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয়ের রয়েছে দুটি গ্রুপ। এর একাংশের নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আলামিন হোসেন এবং অন্য অংশের নেতৃত্ব দেন দেলোয়ার হোসেন। গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার, হলের সিট দখল এবং অভ্যন্তরীন কোন্দলে কিছুদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত সোমবার মধ্যরাতে হলের রুম দখল নিয়ে এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনার মিমাংসা না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। হামলা উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ সময় আলাওল হল ও এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করে কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয় গ্রুপের আলাওল হলের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে আমরা ফুল দিতে গেলে দেলোয়ারের অনুসারীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এরপরে আমাদেরকে ওরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। আর আজকে বিকেলে ওরা আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা করলে এই সংঘর্ষ হয়।
বিজয় গ্রুপের সোহরাওয়ার্দী হলের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, আলামিনের অনুসারীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জামাত-শিবিরের মতো আমাদের ছেলেদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুম, প্রভোস্টের রুমসহ আমাদের রুমে ভাঙচুর চালায় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এরপরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর আগের ঘটনার সময় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তদন্ত কমিটি এখনো রিপোর্ট দেয়নি। রিপোর্ট দিলে আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
-এসআর