নাজমুল হাসান সাকিব: আমরা সবাই সবার। আমরা সবসময় মানুষের জন্য’-এ স্লোগান নিয়ে ১৯৮৮ সালে মুফতি শহিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন আল মারকাজুল ইসলামী।
ইসলাম মানবসমাজে বৈষম্য ও প্রভেদের কোনো সুযোগ রাখেনি। মানুষকে সর্বোচ্চ মানবিকতা, পরহিতৈষণা, সহমর্মিতা ও মহানুভবতার শিক্ষা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুফতি শহিদুল ইসলাম দেশের প্রতিটি অঞ্চলে লাখ লাখ দরিদ্রের মুখে হাসি ফুটেয়েছেন। সর্বাবস্থায় মানবসেবায় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি।
কিংবদন্তী, জনদরদী মুফতি শহিদুল ইসলাম আল মারকাজুল ইসলামীর মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশ ও দেশের বাইরে পর্যন্ত প্রায় সব রকমের মানবসেবামূলক কাজ করে গেছেন। হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সার্ভিস, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ নানাভাবে মানবসেবায় তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। বিশেষত করোনা দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ করোনা আক্রান্তদের লাশ দাফন করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে তার প্রতিষ্ঠান আল মারকাজুল ইসলামী।
মুফতি শহিদুল ইসলাম (এমপি) রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন মিডল ইস্টে বসবাসরত ছিলেন। গত কয়েকমাস আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।
মুফতি শহিদুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০২ সালের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি।
অসুস্থ মানুষের প্রতি সমাজের অন্য মানুষের দায়িত্ব হলো, তাদের সেবা করা, দেখতে যাওয়া, চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান, মানসিক আস্থা তৈরি করা এবং দোয়া করা। মুফতি শহিদুল ইসলাম একসাথে মানুষের সার্বিক বিষয়ের খোঁজ খবর রাখতেন, সহায়তা করতেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত তিনি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। আল্লাহ তার সকল খেদমত কবুল করুন। তাকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। আমিন।
-এটি