আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলাম কারাগারের একটি সেলের ভেতর আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন নজরুল। সেলের ভেতরে আলাদা ব্লকে রেখে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী রফিকুল ইসলাম এ ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মূলত তাঁর দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ অপরাধে অপরাধী করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই সহকারী কারারক্ষীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কারাগারের জেল সুপার লুৎফর রহমানকে প্রধান বানিয়ে চার সদস্যের একটি তদন্তকমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বালা হয়েছে বলেও জানান সুব্রত কুমার বালা।
জানা যায়, কারগারের আলাদা ব্লকের দরজার সামনে থাকা নেট গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নজরুল। এক পর্যায়ে কারা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে নজরুল ২০২১ সালের ২০ মার্চ থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নজরুল স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন।
-টিআই