মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর
ইসলামি ঐতিহ্যের রাজসাক্ষী তুরস্কের শহর ইজমির। এ ইজমির শহরটি গ্রীকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘদিন ছিলো রোমানদের দখলে। তারপর আলেকজান্ডার পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে এটি অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ হয়েছিলো। ইজমির তুরস্কের পশ্চিম অংশের তুরস্কের এজিয়ান উপকূলের একটি শহর।
এটি ইতিহাসে সমৃদ্ধ এক আধুনিক শহর। এটি কেবল তার প্রাচীন শিকড়গুলোর জন্যই নয়, ইজমির তার সমসাময়িক সংস্কৃতির অনেক দিকগুলোর জন্যও পরিচিত। এটি তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এ শহরে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তন্মেধ্যে মূল্যবান কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের নাম ও পরিচয় তুলে ধরা হচ্ছে।
কনক স্কয়ার: এটি ইজমিরের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়। ইজমিরের প্রতীক বিখ্যাত ক্লক টাওয়ার এ শহরের স্কোয়ারে নির্মিত। ১২০ বছর আগে এই ক্লক টাওয়ারটি সুলতান আবদুল হামিদের উপহার হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। এখানে রয়েছে অসংখ্য কবুতর। যাওয়ার পর স্কোয়ারের চারপাশে উড়াউড়ি করতে থাকা কবুতরকে খাওয়াতে ভুলবেন না।
কেমরাল্ট মার্কেট - এখানে রয়েছে অত্যান্ত প্রাচীণ একটি মার্কেট। যার নাম কেমরাল্ট মার্কেট। এখানে ঘুরতে ও দেকতে বেশ আনন্দকর। তবে রাস্তা ততটা প্রশস্ত না হওয়ায় মানুষের অনেক ভীড় জমে যায়। তবে স্থানটি খুব আকর্ষণীয়। এখানে তুর্কিদের অনেক দর্শনীয় চিত্র দেখা যায়।
আল-সানকাক - ইজমিরের অন্যতম সুন্দর অঞ্চল। এখানে আপনি অনেক রেস্তোঁরা এবং প্যাস্ট্রি শপ উপভোগ করতে পারেন। সমুদ্রের তীরের কাছাকাছি হাঁটার জন্য এই অঞ্চলটিও একটি দুর্দান্ত স্থান। এখানে আপনি কিছু ঐতিহ্যবাহী গ্রীক বাড়ি (টেক্সাস ডাবল-তলা বাড়ি) দেখতে পাবেন। পাকা রাস্তাটি বেশ সুরম্য এবং ফটোশুট করার জন্য উপযুক্ত। এই অঞ্চলে, আপনি আতাতুর্ক জাদুঘরটিও দেখতে পারেন।
আসানসর - ইজমিরের করাতা ত্রৈমাসিকের একটি ঐতিহাসিক বিল্ডিং। প্রকৃতপক্ষে এই বিল্ডিংটি একটি লিফট। এর উপরে উঠতে এবং চারপাশের দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে ভিউ পয়েন্ট হিসেবে এটি ব্যবহার করেন পর্যটকগণ। এটি ১৯০৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। আসানসারের উপরে একটি ক্যাফে-রেস্তোঁরা রয়েছে। যেখানের কফি বেশ মজাদার। উপভোগ করার মতো কফি।