মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পারিক সম্পর্ক আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চরম অবনতি হয়েছে। শরিয়তের শাখাগত বিষয়াবলীর ইখতেলাফের (ভিন্নমত) সূত্রধরে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়ছে মুসলিম উম্মাহর সাধারণ মানুষ থেকে আলেম ওলামা-সবাই।
অভ্যন্তরীণ এই বৈরিতায় শুধুমাত্র বিধর্মীরা আনন্দিত হচ্ছে, আর বাস্তবিকপক্ষে সুদূরপ্রসারী বিরাট এক সামগ্রিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ। সম্প্রতি এক বয়ানে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম ও প্রখ্যাত দাঈ মাওলানা তারিক জামিল।
‘আমি আমাদের বড়দের সম্মান করি। কিন্তু আমি আদর্শ বানাই শুধুমাত্র মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। সম্মান সবার জন্য। ইখতেলাফ হবে, তবে সেটা আদবের সঙ্গে হতে হবে। আর আমাদের অবস্থা আজ এমন, যার সঙ্গে ইখতিলাফ তাকে গালি দিচ্ছি। এ কি ইলম তোমরা শিখেছো, তোমাদের একি দ্বীনদারী?
যার জবান ও জিহবা নিয়ন্ত্রণে নেই, সেতো মানুষই নয়। গালির প্রতিউত্তরে কি গালি দিতে হয়? আমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে কখনো গালি দিয়েছেন?
‘নিশ্চয় সে জাদুকর ও চরম মিথ্যাবাদী’ বলে কাফেররা তাঁকে গালি দিয়েছে, তিনি কি এর জওয়াব দিয়েছেন? প্রিয় বৎসরা! আমার নবী ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তোমরাও ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করো। নবীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো। বড়দের সম্মান করো, সম্পর্ক স্থাপন করো নবীর সঙ্গে।
কোন বুযুর্গ আল্লাহওয়ালা যত বড়ই হোক সে দোষত্রুটি মুক্ত হতে পারে না। সুতরাং সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শুধুমাত্র আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই যথেষ্ট-যাকে মহান রাব্বুল আলামিন সমস্ত দোষত্রুটি থেকে মাসুম ও মুক্ত করেছেন।
এজন্য তোমরা যদি এটা করো তাহলে সমস্ত পৃথিবীর মুহাব্বাত ও ভালবাসা তোমাদের হৃদয়ে জমা হবে, সবার থেকে ঘৃণা নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমি ইখতিলাফ করি, ঝগড়া করিনা-এজন্য সভার সঙ্গে আমার মুহাব্বাত ও ভালবাসার সম্পর্ক। তোমাদের সবার মধ্যে আমি এটাই দেখতে চাই। সূত্র: মেসেজ টিভি
-এটি