জাওয়াদ আহমাদ ।।
বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মুসুল্লি একত্রিত হয়েছে টঙ্গীর তুরাগ তীরে৷ আগত মুসুল্লিদের মধ্যে আছে নাবালেগ শিশু তাগড়া যুবক ও বয়োবৃদ্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
ইজতেমার ময়দানে সাময়িক সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা করে মাঠের উত্তর পশ্চিম সাইডের রাস্তার পাশে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ ও চিকিৎসা সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ফ্রী মেডিকেল ক্যম্পেইন। যা সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। কামারপাড়া লোহার ব্রীজ থেকে দশ মিনিট হাঁটলেই হাতের বাম দিকে পাওয়া যাবে বড় এরিয়া জুড়ে অবস্থিত এই ফ্রী মেডিকেল ক্যম্প।
এখানে অংশ নিয়েছে গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম,হামদর্দ, সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হাসপাতাল, আল মারকাজুল ইসলামি, হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি, আল কমর ব্লাডব্যংক সহ প্রসিদ্ধ অপ্রসিদ্ধ আরো বেশ কিছু স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংগঠন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জ্বর, সর্দি, মাথাব্যাথা, পেটব্যাথা, ডাইরিয়া, গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিক পরীক্ষা, পেসার মাপা, ফ্রী ব্ল্যাড গ্রুপিং সহ নানাধরণের রোগের প্রাথমিক সেবা ও পরামর্শ মিলছে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে।
তাছাড়া ইমারজেন্সী রোগীর তাৎক্ষণিক ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার স্বার্থে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্রী আ্যম্বুলেন্স।
রোগ-বালা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং তিনিই রোগমুক্তি ও সুস্থতা দান করেন। এটা সকল ঈমানদারের আত্মিক বিশ্বাস। একজন মুমিন রোগমুক্তির ব্যাপারে একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা রাখে। এতদাসত্বেও ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সাময়িক কষ্ট নিরসনের জন্য ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরী করা ভালোবাসা ও সম্প্রীতির মহান উদ্যোগ বলেই বিবেচিত হবে।
এই ইজতেমা উপলক্ষ্যে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে সাম্য ও শান্তির বিশেষ অবস্থা তৈরী হয়। সবাই যার যার স্থান থেকে ত্যাগ ও সাহায্যের মানসিকতা লালন করে। বিশ্ব ইজতেমার এটাও একটি প্রাপ্তি বললে ভুল হবেনা।
ইজতেমা কেন্দ্রিক সকল সেবা কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকদের মহান আল্লাহ পরিপূর্ণ প্রতিদান দান করুন। আমিন।
-এটি