শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়া মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

বিশ্ব ইজতেমা দিলের খোরাক যোগায়: মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা দীলের খোরাক জোগায়। সাধারণ মানুষ দীনের আলো খোঁজে পায়। আল্লাহ ভোলা মানুষ আল্লাহকে চিনতে পারে। ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর কুদরত জানতে পারে। কুরআন-হাদীসের বাণী শিখতে পারে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল জানতে পারে। দীনের প্রাথমিক আহকাম-বিধিবিধান, ও প্রয়োজনীয় সুরা-কেরাত সহী-শুদ্ধভাবে আয়ত্বে আনতে পারে। সর্বোপরি তাবলিগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দীনদার ও মুত্তাকি হওয়ার পথ খোঁজে পায়।

গত দুই বছর পর বিশ্বব্যাপী পরিচিত তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ ছিলো। করোনার ফলে সাধারণ মানুষের দীলের খোরাক জোগানো এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু আল্লাহর ফজল ও করমে এ বছর পুনরায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই মোমিন হৃদয়ে আনন্দের হিল্লোল বাজছে। লাখে লাখে মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছে।

বিশ্ব ইজতেমায় উলামায়ে কেরাম দীনের কথা। মানুষকে দীনের পথে চলতে শেখান। ইজতেমায় কোরআন-হাদিসের কথা শোনানো হয়। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে কিভাবে চলতে হবে তা হাতে কলমে শিখিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই না; ইজতেমায় শিখানো হয়, কিভাবে দীনকে সারাবিশ্বে জিন্দা করা যাবে? দীনের মেহনতকে কিভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যাবে? এজন্য ইজতেমা শেষে এক চিল্লা, তিন চিল্লা, কিংবা সালের জন্য জামাত বের হয়। আল্লাহপ্রেমী মানুষেরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জামাত নিয়ে দেশ-বিদেশের মাটিতে, বিশ্বের আনাচে-কানাচে বেরিয়ে যান তারা।

সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম দীনকে তাদের জীবনের সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতেন। নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতেন। রাসূলের অনুসৃত পথকে আঁকড়ে ধরতেন। তারা দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে নিজ মাতৃভূমি থেকে হিজরত করেছেন। বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছেন। যার বদৌলতে আজ আমরা দীনের শীতল ছায়া উপভোগ করতে পারছি।

হযরত ইলিয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহির একাগ্র মেহনত ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ তা'আলা এই দীনকে, দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতকে বিশ্বব্যাপী চালু করে দিয়েছেন। পৃথিবীর যেখানেই সূর্য উঠে, সেখানেই দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ দ্বীনের পথে এসেছে। দাওয়াত ও তাবলিগের উসিলায় এখনো এই মেহনত বিশ্বব্যাপী চলছে। কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এই মেহনত জারী রাখেন সে জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি।

তাবলিগের এ মেহনতের জন্য সবার আগে জরুরি ইখলাস ও লিল্লাহিয়াত। কেননা ইখলাস ছাড়া পৃথিবীর কোন কাজে সফলতা লাভ করা যায় না। তাবলিগের কাজেতো নয়ই। সুতরাং একজন তাবলিগী মেহনতকারী বা দাঈ ইলাল্লাহর জন্য ইখলাস সবার আগে জরুরি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ