নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামীকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফজর বাদ আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে দলবেঁধে মুসল্লিরা আসছেন ইজতেমা ময়দানে।
আজ সকালে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায় পুরো ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার বাদ ফজর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল বয়ান শুরু হবে। ইতোমধ্যে আগত মুসল্লিদের নিজ নিজ দলের আমির ইজতেমার যাবতীয় ইমান, আদব, আখলাক ও শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, বিদেশিরা ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৬টি দেশের প্রায় দেড় হাজার বিদেশি এসে ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। একই সাথে দেশের প্রায় সব জেলা থেকে লাখো মুসল্লি এসে ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় হাজির হয়েছেন।
গতকাল আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাধারণ মানুষের ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সুবিধার্থে আমরা ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছি। বিভিন্ন পয়েন্টেও আমরা তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশনা টাঙিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে, কোন রাস্তা কখন খোলা বা বন্ধ খাকবে সেই নির্দেশনা দিয়েছি। পকেটমারসহ নানা অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে আমাদের পেট্টোল টিম কাজ করবে। আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করব।
সাদা পোশাক ও পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে। র্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে, ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোল রুম খুলবে, এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, অবজারভারভেশন টিম থাকবে, র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্টোল টিম, বোম ডিস্পোজাল টিম থাকবে। মোনাজাতের দিন সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাত ও জুমার নামাজ যাতে মুসুল্লীরা সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারে সেজন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন।
-এসআর